সারা দেশ এই মুহুর্তে এনআরসি্, এনপিআর ,সিএবি, সিএএ নিয়ে উত্তাল । তারমধ্যে দেশের নাগরিকরা সেই নিয়ম মেনে নিতে না পারায় একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ, মিছিলে সরব হয় দেশের আমজনতা। তার মধ্যে হিন্দুরা ছাড়াও ছিলো অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিরা। তাদের মধ্যে মুসলিম এর সংখ্যা বেশি। কিন্তু সেই নিয়ে দেশের মানুষদের মধ্যে বিদ্বেষ হলেও তারা পায়ে পা মিলিয়ে প্রতিবাদ করে গেছেন।
এরপর এই আমজনতার পাশে এসে দাড়ান বিরোধী দলনেতারা, বুদ্ধিজীবিরা, সেলিব্রিটিরা। কিন্তু তবুও কথাও যেন সংখ্যালঘুদের মনে একটা চিন্তা রয়ে গেছিলো তারা নিরাপদ নয়। আর সেই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মেরঠের শতাব্দীনগরে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে প্রচারের মঞ্চ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংখ্যালঘুদের আশ্বাস দেন । তিনি জানান সংখ্যালঘুদের চিন্তার কারন নেই তারা নিরাপদ না থাকলে তারা সরকারের কাছে আসতে পারে।
তাদের কেউ কোনও ক্ষতি করবে না । তাদের মধ্যে সংশয়ের কারন নেই, তারা এদেশে নিরাপদ। তিনি এও জানান রাজীব গান্ধীর আমল থেকে এনটআরসি নিয়ে কাজ করা কথা হয়ে এসেছে। তারপর অসমে প্রথম এই নিয়ম চালু হয়। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ধর্মের ভিত্তিতে হয়রানি শিকার হয়ে আসা মানুষদের জন্যই নাগরিকত্ব আইন। পিছিয়ে পড়া মানুষই এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেইসব শরণার্থী মানুষদেরই নাগরিকত্ব দেবে এই আইন। তিনি জানান দেশের হিন্দুদের কথা মাথায় রেখেই এই নিয়ম করা হয়েছে।
কিন্তু কংগ্রেস এই নিয়ে বিজেপিকে বারেবারে কটাক্ষ করেই চলেছে। এমন নয় এদেশের সরকার দেশের আমজনতাকে নিয়ে ভাবেন না। দেশের মানুষদের কথা ভেবেই এই কাজ করা হয়েছে। আর সেই নিয়ে দেশের মানুষ তারা নিজেরাই চিন্তায় আছেন। তিনি এও বলেন গান্ধীজিও নাকি এই আইনের পক্ষে ছিলেন ,মনমোহন সিং তিনিও এই নিয়মের পক্ষেই ছিলেন। অতএব এই নিয়ে এতো বিদ্বেসষর কিছুই নেই