রবিবার সিএএ-এর সমর্থনে হাওড়া বাউরিয়ার ফোটগ্লস্টার মিল্ক কোলোনি এলাকায় দোকান ও বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন “ভারতমাতার পুজো করা যাবে না। অথচ যারা ট্রেনে বাসে আগুন ধরাবে মানুষকে যারা মারবে তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে।
এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ দেশ হয়ে গিয়েছে”। সেইসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের বাড়িতে ঢুকে ভারতমাতার পুজো করার হুংকার দিলেন তিনি। কিন্তু তিনি কেন এসব বললেন প্রসঙ্গত ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে ভারত মাতার পুজো করতে চেয়েছিলেন বিজেপির কর্ম কর্তারা। কিন্তু সেইদিন অনুমতি না মেলায় বেজায় চটে গেছে বিজেপির একাংশ। তার মধ্যে বিজেপির রাজ্য সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন কেন পুজো করা যাবে না।
এই নিয়ে পুলিশ থেকে প্রশাসন কাউকে মুখ করতে ছাড়েন নি তিনি। ২৩ শে জানুয়ারি পুলিশের অনুমতি ব্যাতীত পুজো করা হয় আর সেই নিয়েই শুরু হয় বচসা। এমনকি পুজো করার জন্য ঠাকুরের মুর্তি নাকি আনতে দেওয়া হয়নি , সেটাও রাগের একটা বড় কারন বিজেপির। পুলিশ প্রশাসনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন “ইন্ডিয়ান পুলিশ আর নেই, এখন বাংলাদেশ পুলিশ হয়ে গিয়েছে।
ভারতমাতার পুজো ভারতে হবে না, হাওড়াতে হবে না, তবে কি করাচিতে হবে নাকি চট্টগ্রামে হবে। ভারত মাতার পুজো করতে গেলে পারমিশান লাগে, রাস্তায় বসে নমাজ পড়া সেটার কী পারমিশন থাকে?” আর এইভাবে খারাপ মন্তব্য করায় এই নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরুপ রায়। তিনি বলেন কেন্দ্র থেকেই বারবার বলা হচ্ছে আর তার কারন বশত দেশের একাধিক জায়গায় ঝামেলা বাধাচ্ছে বিজেপির দলের সব লোকেরা। কিন্তু বারবার কেন এরকম করা হবে সেই নিয়েও তিনি অনেক কথা বলেন।