কিছুতেই হবে না উন্নতি, এই ৫ বদভ্যাস পরিত্যাগ না করলে হয়ে যাবেন কাঙাল! কি জানাচ্ছে চাণক্য নীতি?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে দেবী লক্ষ্মীকে (Maa Laxmi) সম্পদের দেবী বলা হয়। পাশাপাশি, এটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মী একবার কোনো ব্যক্তির ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে গেলে তিনি আর সেখানে থাকেন না। এমন পরিস্থিতিতে সেই ব্যক্তি অর্থের অভাবের সম্মুখীন হতে পারেন এবং তাঁর আর্থিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের এই বিষয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম আচার্য চাণক্যের (Acharya Chanakya) নীতি শাস্ত্রে (Sampurna Chanakya Neeti) উল্লেখ থাকা সেই ৫ ধরণের মানুষের কথা বলব যাঁদের কাছে অর্থ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

১. অলসতা: চাণক্য নীতি অনুসারে, যাঁরা অলস হন তাঁদের হাতে কখনোই টাকা থাকে না। অলস লোকেরা প্রতিটি কাজ আগামীকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখে। যার কারণে তাদের কোনো কাজই সময়মতো শেষ হয় না। এদিকে, ধন-সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মী অলস ব্যক্তিদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকেন। যার কারণে তাঁরা কখনও ধন-সম্পদ সঞ্চয় করতে পারেন না।

২. অসৎ সঙ্গ: আচার্য চাণক্য জানিয়েছেন যাঁরা খারাপ সঙ্গে থাকেন তাঁরা তাঁদের অর্থ খারাপ কাজে ব্যয় করে থাকেন। সেজন্য এই ধরণের ব্যক্তিদের কাছে টাকা বেশিদিন থাকে না।

According to Chanakya neeti, these 5 bad habits must be abandoned in order to benefit.

৩. অপমান: আচার্য চাণক্যের নীতি অনুসারে যাঁরা অন্যদের অপমান করেন তাঁদের প্রতি মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। তাই মানুষকে সবসময় সম্মান করুন। বিশেষ করে মহিলাদের। যাঁরা মহিলাদের সম্মান করেন তাঁদের প্রতি সম্পদের দেবী কখনও রাগ করেন না।

আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানি JF-17 ফাইটার জেটের ইঞ্জিন বানাবে ভারত, ৫,২৫০ কোটির চুক্তি পেল HAL

৪. ভুল পথে অর্থ উপার্জন: চাণক্য নীতি অনুসারে, যাঁরা ভুল কাজ করেন এবং ভুল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে থাকেন তাঁদের সাথে দেবী লক্ষ্মী কখনোই থাকেন না। ভুলভাবে অর্জিত অর্থ একজন মানুষকে অল্প সময়ের জন্য সুখ দেয়। কারণ এই অর্থ খুব দ্রুত অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় হয়।

আরও পড়ুন: মাত্র ৩ বছরে আয় ১,২৩০ কোটি! ক্যান্সেলড টিকিটেই মালামাল হল রেল, RTI-তে উঠে এল বড় তথ্য

৫. দম্ভ দেখানো: আচার্য চাণক্যের মতে যাঁরা অতিরিক্ত দাম্ভিক এবং টাকা-পয়সা নিয়ে অহংকার করেন তাঁদের ধন-সম্পদ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই, এদিক থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর