বাংলা হান্ট ডেস্ক: আচার্য চাণক্য (Acharya Chanakya) ছিলেন একজন মহান রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদ। পাশাপাশি, সমাজের প্রতিটি বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি ছিল তাঁর। তিনি জীবনের সকল বিষয়কে গভীরভাবে অধ্যয়ন করার পাশাপাশি, মানুষের সুষ্ঠু জীবনধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণাও প্রদান করেছেন। সর্বোপরি, চাণক্য নীতিতে এমন অনেক প্রসঙ্গের উপস্থাপিত করা হয়েছে, যেগুলি মেনে চললে একজন ব্যক্তি কখনোই হতাশ হবেন না।
এমতাবস্থায়, চাণক্য নীতি অনুসারে, মানুষের জীবনে তাঁর শত্রুদের পরিচয় এবং প্রকৃতি সম্পর্কে জানা উচিত। মূলত, আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা শত্রুর থেকেও ভয়ংকর। এমতাবস্থায়, তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই হল বুদ্ধিমানের কাজ। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
সুযোগসন্ধানী মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন: চাণক্য নীতি অনুসারে, সুযোগসন্ধানী মানুষেরা কখনোই আপনার কোনো উপকার করবেন না। এই ধরণের লোকেরা কেবল তাঁদের নিজের সুবিধার জন্য আপনাকে বোঝাবেন। অর্থাৎ, তাঁরা সবসময়ে নিজের লাভ ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করেন না। এমনকি, নিজের স্বার্থসিদ্ধির কারণে তাঁরা অন্যকে আঘাত করতেও দ্বিধা বোধ করেন না। তাই এই মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
ঈর্ষাকাতর ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য চাইবেন না: চাণক্যের নীতিশাস্ত্র অনুসারে, যে সমস্ত ব্যক্তি লোভী এবং অত্যন্ত ঈর্ষাকাতর হন, তাঁরা অন্যের উন্নতি দেখে আরও ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন। তাই, এই ধরণের ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাওয়া উচিত নয়। কারণ, হিংসার বশবর্তী হয়ে তাঁরা আপনার ক্ষতি করে দিতেও পিছপা হবেন না। শুধু তাই নয়, এই ব্যক্তিরা আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করে বোঝাতে চাইবেন যে, তাঁরা আপনাকে সাহায্য করছেন, কিন্তু অন্তর থেকে আপনার কাজ পন্ড করার পরিকল্পনা করবেন তাঁরা। তাই জীবনে কখনোই এমন মানুষের সাহায্য নেওয়া উচিত নয়।
রাগান্বিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন: আচার্য চাণক্যের মতে, যে সমস্ত ব্যক্তি ক্রোধে পরিপূর্ণ থাকেন, তাঁরা কখনোই কারোর ভালো করতে পারেন না। আর সেই কারণেই এই ধরণের ব্যক্তিদের কাছ থেকে সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখুন। পাশাপাশি, এরা সবসময় তাঁদের ইচ্ছেপূরণের জন্য অন্যের ক্ষতি করেন এবং তাতেই আনন্দ পান। সর্বোপরি, এই মনোভাবাপন্ন মানুষের সাথে শত্রুতা করাও ভালো নয়।
সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মানুষের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এমতাবস্থায়, বাংলা হান্ট এর সত্যতাকে প্রমাণ করে না।