বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় জগত মানেই গ্ল্যামার জগত। এই ধারনাটা কমবেশি সকলেরই রয়েছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই গ্ল্যামারের পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে এক কঠিন বাস্তব। কথায় বলে, প্রদীপের সলতের নীচেই থাকে সবথেকে বেশি অন্ধকার। কথাটা অভিনয় জগতের প্রতিও প্রযোজ্য। একথা আমরা বলছি না, বলেছেন সেই জগতের মানুষরাই। বহুবার কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে তারকাদের। তার মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়িকা, গায়ক সবাই। বলিউড হোক কি টলিউড কাস্টিং কাউচ নাকি রয়েছে সর্বত্রই। কেউ কেউ নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে স্বীকার করেছেন এর অস্তিত্ব। আবার কেউ কেউ এড়িয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি আরও অভিনেত্রী প্রকাশ্যে আনলেন তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
টেলিভিশনের বেশ পরিচিত মুখ মলহর রাঠোর। কয়েকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনিই এবার মুখ খুললেন কাস্টিং কাউচ বিতর্ক নিয়ে। এক সংবাদ সংস্থার সাক্ষাৎকারে মলহর জানান, তাঁর অভিনয় জগতে প্রবেশ করার সময়কার কাহিনি। তিনি তখন নেহাতই কিশোরী। এক প্রৌঢ় প্রযোজকের সম্পর্কে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। মলহরের কথায়, “তখন সেই প্রযোজকের বয়স ছিল ৬৫। আমি তখন টিনেজার। ওই প্রযোজক আমায় বললেন যে তিনি আমার শুভাকাঙ্খী। তারপরেই আমাকে বললেন, আমার টপটা খুলে ফেলতে।”
তবে সেই প্রযোজকের নাম প্রকাশ্যে আনেননি মলহর। মলহর জানান, অভিনয় তাঁর স্বপ্ন। তাঁর বাড়িতে তিনি একাই রোজগার করেন। অভিনয় ছাড়া তিনি অন্য পেশায় দিব্যি যেতে পারতেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্নের কথা ভেবেই সেটা করেননি তিনি। এখন হটস্টারে ‘হোস্টেজেস’ নামে একটি ওয়েবসিরিজে অভিনয় করছেন মলহর।
প্রসঙ্গত, এর আগে বহু নামজাদা অভিনেতা অভিনেত্রী প্রতিবাদ করেছেন কাস্টিং কাউচের। দক্ষিণী অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডির প্রতিবাদের কথা প্রায় সকলেরই জানা। সম্প্রতি রকুল প্রীতও প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। বলিউডে সোনা মহাপাত্রর অভিযোগের ভিত্তিতে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের আসন থেকে সরানো হয়েছে অনু মালিককে।