বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক একটা ছবি অপ্রত্যাশিত ভাবে এসে বক্স অফিসের সমস্ত পাশা উলটে দিয়ে চলে যায়। এমনি একটি ছবি হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। যখন সলমন খানের বহু প্রতীক্ষিত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ বক্স অফিসে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল, ঠিক তখনই মুক্তি পায় কেরালা স্টোরি। ছবির ট্রেলার নিয়ে বিতর্ক হলেও এই ছবি যে বক্স অফিসে এমন ঝড় তুলবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। সকলকে ভুল প্রমাণ করে দশ দিনে ১৫০ কোটি ছুঁতে চলেছে দ্য কেরালা স্টোরি।
অথচ এদিকে বাংলায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই ছবির প্রদর্শনী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করতে শোনা গিয়েছিল কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেনকে। এবার মুখ খুললেন মুখ্য অভিনেত্রী আদা শর্মা (Adah Sharma)। ছবিটা না দেখেই নিষিদ্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একহাত নিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে আদা বলেন, সব ছবির বিচারক একমাত্র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন। তারা যখন ছবিটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে তখন সবার উচিত আগে ছবিটি দেখা আর তারপর কোনো সিদ্ধান্তে আসা। না দেখেই ছবি নিষিদ্ধ করা সেন্সর বোর্ডের অবমাননা বলে মন্তব্য করেন আদা।
এখানেই না থেমে আদা আরো বলেন, দ্য কেরালা স্টোরি ছবিটি এখন আর শুধু ছবি নেই। একটা বিপ্লবে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের অনেকেই ছবিটি দেখে মেলাতে পেরেছেন নিজেদের চেনা পরিচিত কোনো মানুষের সঙ্গে। দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবির সঙ্গে দ্য কেরালা স্টোরির তুলনা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন আদা। তিনি বলেন, সম্ভবত দুটি ছবিই বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি বলে এই ধরণের তুলনা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দ্য কেরালা স্টোরি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী আদা শর্মা। ট্রেলারে প্রথমে তাঁকে কেরল বাসী এক হিন্দু মেয়ের চরিত্রে দেখানো হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয় তাঁকে। শেষে তাঁর জায়গা হয় ISIS-এ। আদা বলেন, সন্ত্রাসবাদের এই গল্প ভয়ঙ্কর। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো বলতেই হত।