বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বড় পরিকল্পনার পথে আদানি গ্রুপ (Adani Group)। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আদানি গ্রুপ তাদের এয়ারপোর্ট বিজনেস সম্প্রসারণের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ১১ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। মূলত, নতুন এয়ারপোর্ট টার্মিনালের জন্য দরপত্র আহ্বান, বর্তমান বিমানবন্দরগুলিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিমান রক্ষণাবেক্ষণের মতো নতুন ক্ষেত্রগুলিতে সম্প্রসারণের জন্য এই বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ডাইরেক্টর জিৎ আদানি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আদানি গ্রুপের (Adani Group) মেগা প্ল্যান:
IPO-র প্রস্তুতি এবং নতুন অংশীদার যোগ করার পরিকল্পনা: জিৎ আদানি জানিয়েছেন যে, কোম্পানিটি ২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে তার এয়ারপোর্ট বিজনেসের জন্য একটি IPO চালু করার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে মূল কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস থেকে এয়ারপোর্ট ইউনিটকে আলাদা করাও হতে পারে। তাঁর মতে, এই ডিমার্জার শেয়ার হোল্ডারদের জন্য আরও ভালো মূল্য প্রদান করবে। জিৎ জানান, লিস্টিংয়ের আগে কোম্পানিটি স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর সামিল করার কথা বিবেচনা করবে। যদিও, আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনও শুরু হয়নি।

৭ টি বিমানবন্দর চালু আছে, আরও ১১ টি বিমানবন্দরের দিকে নজর: জানিয়ে রাখি যে, আদানি এয়ারপোর্ট কোম্পানি বর্তমানে মুম্বাই থেকে শুরু করে আহমেদাবাদ সহ ৭ টি প্রধান বিমানবন্দর পরিচালনা করে। এমতাবস্থায়, সংস্থাটি এখন আরও ১১ টি নতুন এয়ারপোর্ট টার্মিনালের প্রাইভেটাইজেশনের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে বারাণসী থেকে শুরু করে ভুবনেশ্বর এবং অমৃতসরের মতো টার্মিনালগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। উল্লেখ্য যে, সরকার লোকসানে চলছে এমন এয়ারপোর্টগুলিকে লাভজনক এয়ারপোর্টগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে দিচ্ছে, যাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যায়।
আরও পড়ুন: ‘কোচ নন, উনি টিম ম্যানেজার’, গম্ভীরের সমালোচনা করে বড় প্রতিক্রিয়া কপিল দেবের
নভি মুম্বাই বিমানবন্দর হবে শোপিস প্রোজেক্ট: আদানি গ্রুপের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হল নভি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেটি ২৫ ডিসেম্বর উদ্বোধন হবে। প্রথম পর্যায়ে হয়েছে ২০,০০০ কোটি বিনিয়োগ। বার্ষিক ২ কোটি যাত্রীকে পরিষেবা দেবে এই বিমানবন্দর। এদিকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। পাশাপাশি, ২০৩০ সালের মধ্যে, মনোরেল এবং ২০ টি হোটেল সহ একটি অ্যারো সিটিও গড়ে তোলা হবে। যাত্রীরা রিয়েল টাইমে তাদের লাগেজ ট্র্যাক করতে সক্ষম হবেন এবং স্থানীয় খাবার থেকে শুরু করে মিশেলিন-স্টার ডিশের বিকল্পও পাবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফের বর্বরোচিত ঘটনা! পিটিয়ে হত্যার পর গাছে বেঁধে পোড়ানো হল হিন্দু যুবকের দেহ
হিন্ডেনবার্গের পর আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা: এই বিনিয়োগ এমন এক সময়ে এসেছে যখন আদানি গ্রুপ ঋণ কমিয়ে নতুন বিনিয়োগকারী এনে তার ভাবমূর্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ফলে ২০২৩ সালে কোম্পানির বাজার মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এদিকে, সম্প্রতি মার্কিন ডিওজে-র সাম্প্রতিক অভিযোগগুলিও কোম্পানিটি তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে।












