বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) নেতিবাচক রিপোর্টের জেরে রীতিমতো নড়ে গিয়েছিল সমগ্ৰ আদানি সাম্রাজ্যের ভিত। পাশাপাশি, তুমুল ক্ষতির সম্মুখীন হন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautama Adani)। তবে, ওই ধাক্কা ক্রমশ কাটিয়ে উঠছে সংশ্লিষ্ট গ্রূপ। ঠিক সেই আবহেই এবার কোম্পানির জন্য একটি ভালো খবর সামনে এসেছে।
মূলত, এতদিন যাবৎ আদানি গ্রূপের কাছে রীতিমতো “গলার কাঁটা” হয়েছিল মায়ানমারের বন্দরে বিনিয়োগের বিষয়টি। তবে, এবার স্বস্তি মিলেছে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে যে, ৩০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ওই বন্দর বিক্রি করেছে কোম্পানি। এদিকে, এই খবর সামনে আসতেই ২ শতাংশ বেড়েছে কোম্পানির শেয়ার।
উল্লেখ্য যে, আদানি পোর্টসের শেয়ার বৃহস্পতিবার ৬৭০ টাকায় খোলার পর ৬৮০ টাকায় বন্ধ হয়। পাশাপাশি দিনের সর্বোচ্চ দর ছিল ৬৮২ টাকা। এই বিক্রির প্রসঙ্গে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সমস্ত প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পন্ন হওয়ার ৩ দিনের মধ্যেই আদানি পোর্টসকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দেবে বন্দরের ক্রেতা। তারপরেই আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন ইক্যুইটি স্থানান্তর করার পাশাপাশি বন্দর ছেড়ে দেবে।
এদিকে, এই পোর্টটি আদানি গ্রূপের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই ক্রমাগত লস সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। এই বন্দর থেকে আদানি গ্রুপের ক্ষতির পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৯৩৭ কোটি টাকায়। জানিয়ে রাখি যে, ২০২০ সালে আদানি গ্রূপ রেঙ্গুনে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরির চুক্তি পেয়েছিল। পাশাপাশি, ৫০ বছরের জন্য এই বিনিয়োগও পেয়ে গিয়েছিল গ্রুপটি। যদিও, ওই বিনিয়োগের পরেই তৈরি হয় সমস্যা। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম দাবি করে যে, আদানি পোর্টস আমেরিকান ট্রেজারি বিভাগের তরফে নিষিদ্ধ করা একটি কোম্পানির সাথে আর্থিক লেনদেন করেছে। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্রেতা পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় আদানি গ্রূপকে।
এমতাবস্থায়, এই প্রসঙ্গে আদানি পোর্টসের সিইও করণ আদানি জানিয়েছেন, “সমগ্ৰ বিষয়টি আমরা গুছিয়ে করছি। আমরা যদি এখানে কিছু ফেলে রেখে যাই সেক্ষেত্রে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে। সেই কারণেই আমরা সঠিক ভাবে এটি বিক্রি করছি। আর ওই কারণেই একটু বেশি সময় লাগছিল। পাশাপাশি, আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা চলে যাওয়ার পরে যাতে এগুলো কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হয়।”