বিধানসভায় বিধায়কদের ধমকানো নিয়ে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে একহাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ বিধানসভা তৃণমূলের পার্টি অফিস নয় তা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সেনাপতিদের বিধানসভায় দাদাগিরি চালানোর অভিযোগ তুললেন তিনি৷ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি থাকাকালীন কী করে মন্ত্রীরা বিরোধী দলের বিধায়কদের ধমকান? সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বিধানসভায় মন্ত্রীদের বিধায়কদের ধমক দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেই বিধানসভায় বিরোধী বিধায়কদের প্রশ্ন করার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন অধীর৷
এমনকি মন্ত্রীদের ধমকের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আচরণকে সমর্থন না করার কথাও সরাসরি বিধানসভাতেই জানানো উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর এমনটাই মনে করছেন অধীর চৌধুরী৷ উল্লেখ শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্ন উত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন ঠিক সেই সময় প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টিতে অপপ্রচার এবং ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করা হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন পাশাপাশি বিধানসভায় সকলের সামনে প্রতিমা রজকের ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দেন, এই সময় থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত৷ এর পর রীতিমতো ধমক দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদের বাকি বিধায়করা তৃণমূল সরকারে যোগ দেবে বলেও জানান আর তার পরই মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়করা ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ দুই দলের মধ্যে এক প্রস্থ বচসা হয়৷
এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধীর রঞ্জন বলেছেন কংগ্রেসের সাংসদ ভুল মন্তব্য করলে তাঁকে দ্রুত মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়, এই নজির আর কেউ তৈরি করেননি? অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রীর নীরব দর্শকের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে তিনি নাকি পদের মর্যাদা রক্ষা করতে জানেন না, এমনকি তৃণমূলের মন্ত্রীরাও পদের মর্যাদা রক্ষা করতে জানেন না বলে আঙুল তুলেছেন অধীর৷