বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বামেদের সঙ্গে আব্বাসের আসন নিয়ে বোঝাপড়া হয়ে গেলেও কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও চলছে বনিবনা। আর সেটার জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চেই দেখা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছে যে, তাঁরা তোষামোদ করবে না। তাঁরা নিজেদের হক ছিনিয়ে নেবে।
আরেকদিকে, নিজের অবস্থানে অনড় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে মালদহ – মুর্শিদাবাদ থেকে একটিও আসন ছাড়া হবে না। অধীর চৌধুরীর এই সিদ্ধান্তে সংযুক্ত মোর্চার জোট গঠনের আগেই ফাটল স্পষ্ট দেখা দিচ্ছে।
বলে রাখি, আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম আর বামেদের দুর্গ বলে পরিচতি ভাঙড় আসন ছেড়ে দিয়েছে আলিমুদ্দিন। এই দুটি আসন থেকেই আব্বাস সিদ্দিকীর আত্মীয়দের দাঁড় করানোর কথা সামনে আসছে। আর এবার আব্বাস সিদ্দিকীর লক্ষ্য হল সংখ্যালঘু বহুল মালদহ আর মুর্শিদাবাদের আসন গুলো। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী নিজের গড় থেকে একটিও আসন আইএসএফ-কে ছাড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
আসন নিয়ে দুপক্ষের এহেন অনড় সিদ্ধান্তে বিপাকে বাম শিবির। ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বামেরা। আরেকদিকে, তাঁদের পুরনো সঙ্গী কংগ্রেসের হাতও ধরে রাখতে চায় তাঁরা। তবে কংগ্রেস আর আইএসএফ মধ্যে থেকে বামেরা নিজেরাই বিপাকে পড়ে গিয়েছে।
গতকাল ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী নিজের দলের সমর্থকদের বামেদের ভোট দিতে বলেছেন। কিন্তু বামেদের ভোট দিতে বললেও জোটের আরেক সঙ্গী আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে নিয়ে তিনি মুখ খোলেন নি। এই বিষয়ে অধীরবাবু বলেন, ‘বাম-কংগ্রেসের জোট এখনও অমিমাংসিত। দুই দলের আসনরফা সম্পূর্ণ হলে অন্যদের নিয়ে ভাবব।” তিনি এও বলেন যে, শুধু কংগ্রেসকে একা নয়, সবাইকে জোটের ধর্ম মেনে চলতে হবে।