বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, অভিযুক্ত ৪ জন অফিসারকে সাসপেন্ড করতেই হবে। এই মর্মে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে ডেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে কমিশন। ২১ অগস্ট পর্যন্ত এই পদক্ষেপের জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন মুখ্যসচিব।
“মানুষটা খুবই ভদ্র তবে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে”, মনোজ প্রসঙ্গে মন্তব্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Chowdhury)
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন মনোজ পন্থ। সেই সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় রয়েছে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Chowdhury)। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, “মানুষটা খুবই ভদ্র, কাজের লোক, সৎ লোক। কিন্তু মাঝে পড়ে আজ তাঁর এই অবস্থা হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, মুখ্যসচিবকে কার্যত ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের নির্দেশ নিয়ে আলোচনার সুযোগ কার্যত সীমিত। ১৪ অগস্টের পর ১৫ অগস্ট শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের ছুটি, শনিবার বিশেষ কোনও প্রশাসনিক কার্যক্রম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামী সপ্তাহে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় মুখ্যসচিব এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন যেখানে কমিশনের নির্দেশ মানা এবং রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক অবস্থান, দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় করা সহজ হবে না। সময়সীমা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই চাপ বাড়ছে প্রশাসনিক মহলে।
ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের কড়া নির্দেশ মানতে রাজ্যের হাতে সময় খুব কম। এই ইস্যুতে মুখ্যসচিবকে অধীরের (Adhir Chowdhury) ‘বলির পাঁঠা’ বলা ও মুখ্যসচিবের উপর কমিশনের চাপ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই ঠিক করবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে।