বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিজেপিকে হারাতে কেন্দ্রীয়ভাবে কংগ্রেস-তৃণমূল এক আসনে বসলেও বাংলায় তাদের বন্ধুত্বের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। ইন্ডিয়া জোটের এক শরিক দলকে আক্রমণ করল আরেক দল। তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।
তিনি বলেন, ‘নুসরত জাহানকেও কেন্দ্রীয় সংস্থা ডেকেছিল, কিন্তু তখন সেই নিয়ে কিছু বলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু এবার যখন খোকাবাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডাকা হল তা নিয়ে তখনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। তাঁর ভাইপোর সময় এলেই তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলেন।’
যদিও অভিষেকের এই ইডি-র তলবের বিষয়টিকে বিজেপির সঙ্গে সেটিং বলেই মন্তব্য করেছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘১৩ তারিখ ইন্ডিয়া-র বৈঠক ছিল। আর ১৩ তারিখেই ইডি (ED) ডাকল। এর পিছনে কোনও রহস্য আছে কিনা জানতে হবে। ইডি আর কাউকে ডাকছে না। ডাকলেও গ্রেফতার করতে চাইছে না। ১৩ তারিখটা বড়ই অদ্ভুত। তার আগে নৈশভোজের আমন্ত্রণ। নৈশভোজে অংশ নিতে হুট করে দিল্লি পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেই নৈশভোজে যোগ না দিলে কিছুই হত না। মহাভারত অপবিত্র হত না। সব মিলেমিশে কেমন লাগছে। খোকাবাবুকে ইডি ডাকবে, সবকিছু করবে কিন্তু গ্রেফতার করবে না।’
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, ‘যা সত্যি তাই বলি। কয়লা চুরি, বালি চুরি, পাথর চুরি, গরু পাচার, সবকিছুতে এদের নাম জড়িয়ে গেছে। আজ পার্থ-অনুব্রতদের জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। দিদির মাথাব্যথা খোকাবাবুকে নিয়ে। কংগ্রেসকে বাংলায় নয়, সারা ভারতবর্ষে খতম করতে অনেক দায়িত্ব নিয়েছিলেন খোকাবাবুর পিসি। আর যখন পরাজিত তিনি বুঝেছেন এখন, কংগ্রেসকে অগতির গতি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন।’