‘তৃণমূল ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে!’, বাইরনকে হারিয়ে ‘ধনুক ভাঙা পণ’ অধীরের! সরাসরি চ্যালেঞ্জ মমতাকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জল্পনাই সত্যি। অবশেষে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিলেন সাগরদিঘীর বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bairon Biswas)। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত থেকে জোড়া ফুলের পতাকা তুলে নিলেন তিনি।

উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বড় মুখ করে বলেছিলেন, ‘দলের বিধায়কের সংখ্যা ১ থেকে ১০০ করব। এটা সবে শুরু।’ জানিয়ে দেন, ‘তৃণমূলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। অন্য কেউ দলবদল করতে পারেন। আমি না।’ এর তিনমাসের মধ্যেই দলবদল করা সেই বায়রন বিশ্বাসের গলায় সম্পূর্ণ উলটো সুর। বিরোধীরা যতই সাগরদিঘি মডেন নিয়ে গলা ফাটাক না কেন, বায়রনের দাবি, তাঁর জয়ের পিছনে কংগ্রেসের কোনও অবদানই নেই। বরং নিজের যোগ্যতায় জয় পেয়েছেন। ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনঃ দাবি বায়রনের।

আজ সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেসের ছেড়েছেন তিনি। যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ঘাটালের ক্যাম্পে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে বসে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। বায়রণ বললেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুধুমাত্র তৃণমূলকে নিশানা করে। তৃণমূলকে ছোট করে। অথচ বিজেপিকে নিয়ে কোনও কথা বলে না।’

রাজ্যের উন্নয়ন করতে হয় ত তৃণমূল ছাড়া বিকল্প নেই বলেও দাবি বায়রনের। রাজ্যজুড়ে ঘাসফুল ঝড়ের মধ্যে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল তৃণমূল বিরোধী জোট। সাগরদিঘি মডেলকে হাতিয়ার করে রাজ্য রাজনীতিতে বদল আনতে নয়া উদ্যমে ঝাঁপিয়েছিল তারা। বাম-কংগ্রেসের দাবি ছিল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের মনে ক্ষোভ বাড়ছে। তাই বিরোধীদের ভোট দিচ্ছে আমজনতা। তাঁদের সেই দাবি যে কতটা ফাঁপা তা এদিন কার্যত প্রমাণ করে দিলেন বায়রন। বায়রন বললেন,’আমার জয়ের পিছনে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই। জনতার কাজ করেছি তাই জিতেছি। প্রয়োজনে আবার ভোট করানো হোক।’

bairon adhir

বায়রনের কথায়, ‘আমার পরিবার যদি দেখেন, দেখবেন তৃণমূলের সঙ্গে যোগ আছে। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় কংগ্রেসের হয়ে লড়েছিলাম। আমিও উন্নয়নের জন্য তৃণমূলে যোগ দিলাম।’ অভিষেকও জানান, বায়রন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তা কোনও কারণে তা হয়নি। মুর্শিদাবাদ থাকাকালীনও কথা হয়েছিল। তখনও অসুস্থ ছিল। বলেছিলাম, সুস্থ হয়ে আসতে। তাই আজ এসে তৃণমূলে যোগ দিল।’

আজ সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেসের ছেড়েছেন তিনি। যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ঘাটালের ক্যাম্পে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে বসে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। বায়রণ বললেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুধুমাত্র তৃণমূলকে নিশানা করে। তৃণমূলকে ছোট করে। অথচ বিজেপিকে নিয়ে কোনও কথা বলে না।’

রাজ্যের উন্নয়ন করতে হয় ত তৃণমূল ছাড়া বিকল্প নেই বলেও দাবি বায়রনের। রাজ্যজুড়ে ঘাসফুল ঝড়ের মধ্যে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল তৃণমূল বিরোধী জোট। সাগরদিঘি মডেলকে হাতিয়ার করে রাজ্য রাজনীতিতে বদল আনতে নয়া উদ্যমে ঝাঁপিয়েছিল তারা। বাম-কংগ্রেসের দাবি ছিল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের মনে ক্ষোভ বাড়ছে। তাই বিরোধীদের ভোট দিচ্ছে আমজনতা। তাঁদের সেই দাবি যে কতটা ফাঁপা তা এদিন কার্যত প্রমাণ করে দিলেন বায়রন।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর