একদম ঠিকঠাক কাজ করে সূর্যের দিকে এগোচ্ছে আদিত্য-L1! বড় তথ্য সামনে আনল ISRO

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO (Indian Space Research Organisation) রবিবার বড় তথ্য সামনে এনেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আদিত্য-L1 (Aditya L-1) মহাকাশযানটি গত ৬ অক্টোবরে প্রায় ১৬ সেকেন্ডের জন্য ট্র্যাজেক্টরি কারেকশন ম্যানুভার (TCM) সঞ্চালন করে এবং এখন সূর্য-পৃথিবী ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট 1-এর দিকে ঠিকঠাকভাবে এগিয়ে চলেছে। এই প্রসঙ্গে X-মাধ্যমে একটি পোস্টে ISRO জানিয়েছে যে, ওই মহাকাশযানটি সম্পূর্ণ “সুস্থ” অবস্থায় সূর্য-পৃথিবী L1 পয়েন্টের দিকে এগিয়ে চলেছে।

ISRO জানিয়েছে যে, “গত ১৯ সেপ্টেম্বর সম্পাদিত ট্রান্স-ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট 1 ইনসারশন (TL1I) ম্যানুভারকে ট্র্যাক করার পরে মূল্যায়ন করা ট্র্যাজেক্টোরি সংশোধন করার জন্য TCM-এর প্রয়োজন ছিল। TCM নিশ্চিত করেছে যে, মহাকাশযানটি L1-এর চারপাশে হ্যালো অরবিট ইনসারশনের দিকে তার উদ্দেশ্যমূলক পথ বজায় রেখেছে।”

সূর্যের দিকে এগিয়ে চলেছে আদিত্য-L1: ISRO-এর তরফে জানানো হয়েছে, আদিত্য-L1-এর অগ্রগতির সাথে সাথে ম্যাগনেটোমিটার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের চালু হবে। উল্লেখ্য যে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর, আদিত্য-L1 মহাকাশযানটি সফলভাবে পৃথিবীর প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে গিয়ে সূর্য-পৃথিবী ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট 1 (L1)-এর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: “পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় শিক্ষকদের বকেয়া DA বন্ধ হতে পারে”, মামলার মাঝেই এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

জানিয়ে রাখি যে, আদিত্য-L1 অরবিটার বহনকারী PSLV-C57.1 রকেটটি গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। দেশের প্রথম সৌর মিশনের এই উৎক্ষেপণটি ISRO-র ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদে সফলভাবে অবতরণের কয়েক সপ্তাহ পরে সম্পন্ন হয়। ISRO অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আদিত্য-L1 মিশন ৪ মাসের মধ্যে তার অবজারভেশনাল পয়েন্টে পৌঁছে যাবে।

আরও পড়ুন: বদলা নিয়ে বড় ঘোষণা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর, নেতানিয়াহুর বয়ানে আশঙ্কার কালো মেঘ প্যালেস্তাইনে

আদিত্য-L1-কে পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে ১৫ লক্ষ কিমি দূরে স্থাপন করা হবে: ISRO-র মতে, এটিকে ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট 1 (বা L1)-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। যা পৃথিবী থেকে সূর্যের দিকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এই মহাকাশযানটি সূর্যকে নিরীক্ষণের জন্য ডিজাইন করা ৭ টি ভিন্ন পেলোড দিয়ে সজ্জিত রয়েছে। এর মধ্যে ৪ টি পেলোড সূর্য থেকে আলো পর্যবেক্ষণ করবে, বাকি ৩ টি প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের ইন-সিটু প্যারামিটার পরিমাপ করবে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর