নরক হয়ে উঠল আফগানদের জীবন, কাবুল এয়ারপোর্ট বন্ধ হওয়ায় ভিড় বাড়ছে সীমান্তে

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরিস্থিতি ক্রমাগত আরও খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানে, গত ১৫ আগস্ট প্রায় কুড়ি বছর বাদে ফের একবার আফগানিস্তানের মসনদে ফিরেছে তালিবান। আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার করার পর থেকেই আফগান সেনা তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করতে হয় তাদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী এর আগেও ২৩ জুলাই নাগাদ প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন জো বাইডেন। তিনি পরিষ্কারই জানিয়েছিলেন, তালিবান নিয়ে নিজেদের মনোভাব বদলাতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এতে সারা বিশ্বজুড়ে তাদের ভাবমূর্তিতে প্রভাব পড়ছে।

তারপরেই সেনা সরিয়ে নেওয়া হয় এবং আশরফ গনিও দু সপ্তাহের মধ্যেই দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দর থেকেও সেনা প্রত্যাহার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তারপরেই পরিস্থিতি ক্রমাগত আরও খারাপ হয়ে উঠছে। বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় আফগান নাগরিকরা এখন ভিড় করছেন বাধাওয়াসি সীমান্তে। আফগানিস্তান আসলে একটি স্থলবেষ্টিত দেশ। ইরান, পাকিস্তান এবং অন্যান্য মধ্য এশিয়ার দেশগুলি তাদের সীমান্ত ঘিরে রেখেছে। আর তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরণার্থীরা আশ্রয় নেন ইরানে। এই কারণেই লাগাতার ভিড় জমতে শুরু করেছে সীমান্ত এলাকাগুলিতে।

অন্যদিকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে পুরোদমে প্রস্তুত তালিবান। তারা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তারা। মঙ্গলবার কাবুল বিমানবন্দরে সামনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তালেবানের শীর্ষ মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ। দেশের নাগরিকদের স্বাধীনতার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই বিজয়ের জন্য আফগানিস্তানকে অভিনন্দন। এই বিজয় আমাদের সবার বিজয়। এটা আফগানদের জয়।”

Afghanistan to be renamed 'Islamic Emirate of Afghanistan'

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কার্যত তালিবানকে এখন অনেক বড় দেশই মান্যতা দেওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। একদিকে যেমন তালিবানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান এবং চীন, তেমনি আমেরিকার এই পরাজয়ে খুশি রাশিয়াও। তাই আগামী দিনে অন্যান্য দেশগুলি এখন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে। তবে আফগান নাগরিকদের বর্তমান পরিস্থিতি সীমান্তের দিকে নজর দিলেই বোঝা যায়।

X