বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গণেশ চতুর্থির পরে দেশে গণে উৎসব পালিত হচ্ছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, সিদ্ধিদাতা গণেশের জয়জয়কার ভারত থেকে হাজার হাজার মেইল দূর ঘানাতেও ধুমধাম করে হচ্ছে। ঘানাতেও সিদ্ধিদাতা গণেশকে সেরকমই ভক্তি আর ধুমধাম করে গণেশ উৎসব পালন করা হয়ে, যতটা ভারতে করা হয়ে থাকে।
আফ্রিকার দেশে ঘানাতে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজা সেখানকার আফ্রিকান হিন্দুরা করে থাকে। ঘানাতে প্রতি বছরই ধুমধাম করে গণেশ উৎসব পালিত হয়। আর ভারতের হিন্দুদের মতই গণেশের মূর্তি বিসর্জন ধুমধাম করেই করা হয়। বিবিসি এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭০ সাল থেকে সেখানকার আফ্রিকানরা হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকেন। আজ প্রায় ১২ হাজার হিন্দু ওই দেশে বসবাস করেন।
আরতির সময় ভগবানের শরণে মাথা নত করা, শঙ্খ বাজানো, ফল অথবা লাড্ডু দিয়ে প্রসাদ দেওয়া, আরতি, ভজন কীর্তনও সম্পূর্ণ হিন্দু ধর্ম মেনেই ঘানার হিন্দুরা করে। ঘানায় থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা জানান, তাঁরা তিনদিন সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজা করেন, আর তারপর ভগবান গণেশের মূর্তি বিসর্জন দেন।
ঘানায় শুধু ভগবান গণেশ না, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ আর শিবভক্ত অনেক আছে। সেখানে হিন্দুরা অনেক দেব দেবীর পুজা করেন। সেখানকার হিন্দুরা জানান, সমুদ্র সব যায়গাতেই আছে, আর সেই জন্য ভগবান গণেশ এর আশীর্বাদ সব যায়গায় পড়ে। সবাইয়ের ভগবানের উপর বিশ্বাস রাখা দরকার, কারণ ভগবান আমাদের সমস্ত বাধা, সমস্যা থেকে মুক্তি দেন।