বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে উত্তরপ্রদেশের (uttar pradesh) এক ঘটনা সকলকে নাড়া দিয়ে দিল। এক ব্যক্তির নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ২০ টা বছর সময় লেগে গেল। ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবনের সাজা প্রাপ্ত বিষ্ণু তিওয়ারি (vishnu tiwari) দীর্ঘ ২০ বছর পর নিজেকে নির্দোষ হিসাবে প্রমাণ করতে পারলেন। শীঘ্রই তাঁকে মুক্তিও দেওয়া হবে।
উত্তর প্রদেশের ললিতপুর গ্রামে বাবা, মা এবং দু ভাইকে নিয়ে দারিদ্রতার সঙ্গে দিন কাটাচ্ছিলেন বিষ্ণু তিওয়ারি। কিন্তু ২০০০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সিলাওয়ান গ্রামে বসবাসকারী তফসিলি বর্ণের এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিষ্ণু তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতে কেস ওঠে। কিন্তু তারা খুব গরীব থাকায়, নিজের পক্ষে কোন উকিল নিয়োগ করতে পারেননি বিষ্ণু। বিচারে তাঁর যাবজীব্বন সাজা শোনায় আদালত। ছেলের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগে সহ্য করতে না পেরে বিষ্ণু তিওয়ারির বাবা সেখানেই অসুস্থ হয়ে মারা যান এবং বাবার মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে তাঁর মাও মারা যান। কিন্তু বাবা মায়ের শেষকৃত্যে তাঁকে যেতেও দেওয়া হয়নি। এমনকি পরবর্তীতে তাঁর দুই ভাইয়ের মৃত্যু সজ্জায় তাঁকে শেষকৃত্য করতে দেওয়া হয়নি।
পরিবারের সকলকে হারিয়েও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে তাদের যতটুকু সম্পত্তি মাত্র ৫ একর জমি, তাও বিক্রি করে দেয় বিষ্ণু। এইভাবে সবকিছু হারিয়েও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার লড়াই চালিয়ে যায় বিষ্ণু। অবশেষে গত ২৮ শে জানুয়ারি বিচারপতি কাউশাল জয়েন্দ্র ঠাকর এবং গৌতম চৌধুরীর মিলিত ডিভিশন বেঞ্চ বিষ্ণুকে নির্দোষ ঘোষণা করে জানায়, ‘এখানে মহিলা ভুল অভিযোগ করেছিলেন। তাদের মধ্যেকার জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটে’।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার