বিয়ের ২২ বছর পরে বয়সে ছোট যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক! প্রেমিকের সাথে পালালেন মেমারির গৃহবধূ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিয়ের পর কেটে গিয়েছে ২২ টি বছর। স্বামী ও দুই স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে ভালোই কাটছিল দিন। কিন্তু, আচমকাই জীবনে প্রেম আসায় কেটে গেল তাল। শুধু তাই নয়, স্বামী এবং দুই মেয়েকে ছেড়ে বয়সে ছোট এক যুবকের সঙ্গেই পালিয়ে গেলেন এক মহিলা। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার মেমারিতে।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মেমারি-২ ব্লকের বাসিন্দা বছর ৩৭-এর ওই মহিলা তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হন। এমতাবস্থায়, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক বহরমপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। পাশাপাশি, প্রতি মাসে গ্রামের বাড়িতে আসতেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই গৃহবধূর বাড়িতে প্রায়শই যাতায়াতও ছিল তাঁর।

আর এভাবেই ধীরে ধীর প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সংসার ছেড়ে ওই বধূ আচমকাই তাঁর প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান। আর তারপর থেকেই আর বাড়িতে ফেরেননি তিনি। তবে, পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে, তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই রয়েছেন।

এমতাবস্থায়, ওই গৃহবধূকে ফের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে তাঁর স্বামী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরাও চাইছেন মেয়ে ফের সংসারে ফিরে আসুক। ইতিমধ্যেই তাঁরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেমারি থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। যদিও, জানা গিয়েছে প্রেমিককে ছেড়ে বাড়ি ফিরতে নারাজ ওই গৃহবধূ।

whatsapp image 2023 03 12 at 1.41.19 pm

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামী পেশাগত ভাবে একজন ছোট ব্যবসায়ী। যদিও, তাঁর আয়ে ভালোভাবেই সংসার চলে যাচ্ছিল। পাশাপাশি, পারিবারিক অশান্তিরও কোনো রেশ ছিল না। তবে, ওই যুবকের সঙ্গেও বাড়ির সবার ভালো সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি বারংবার বাড়িতে এলেও কারও কোনো সন্দেহের উদ্রেক হয়নি। এই প্রসঙ্গে ওই গৃহবধূর এক আত্মীয় জানিয়েছেন “বিভিন্ন জায়গায় ওদের খোঁজ করলেও কোথাও ওদের সন্ধান মেলেনি। ওই যুবক মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে কোথায় থাকত সেটাও আমাদের জানা নেই। তাই পুলিশ তাঁদের খুঁজে বের করুক।” পাশাপাশি, পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, “আমরা চাইছি ও (গৃহবধূ) আমাদের সামনে এসে হাজির হোক। একবার তার মুখ থেকে সবকিছু শুনে নিয়ে তারপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সে নেবে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর