বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারত। তবে অনেকেই মনে করেন বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার কারণে ভারতের বহু মানুষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। অত্যাধিক জনসংখ্যার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে বেশি ভারতে। ভারতের জনসংখ্যা সম্পর্কে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা তহবিল।
রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ইউএনএফপিএ-এর (United Nations Population Fund) রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের মোট জনসংখ্যা বর্তমানে ১৪৪.১৭ কোটি। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি। বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা ১৪২.৫ কোটি। এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে জনসংখ্যার নিরিখে ভারত ছাপিয়ে গেছে চীনকে।
আরোও পড়ুন : বলিপাড়ায় হৈচৈ! এবার ইডির নিশানায় শিল্পা শেঠি-রাজ কুন্দ্রা, বাজেয়াপ্ত হল ১০০ কোটির সম্পত্তি
পাশাপাশি এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে আগামী ৭৭ বছরে ভারতের জনসংখ্যা হবে দ্বিগুণ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে সরকারের চেষ্টাকে।
নবজাতক, মহিলা এবং এলজিবিটিকিউ স্ট্যাটাস ইত্যাদির মৃত্যুর তথ্যও জনসংখ্যার পাশাপাশি প্রকাশ করা হয়েছে এই রিপোর্টে। জনসংখ্যার অস্বাভাবিক পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য মোদি সরকার কমিটি গঠনের কথা বলেছে। গত বাজেট বক্তৃতার সময় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিকশিত ভারত-এর লক্ষ্য পূারণের পাশাপাশি, কীভাবে সামগ্রিক দিক থেকে এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করা যায়, সেই বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ করা দায়িত্ব থাকবে এই কমিটির।’