দীর্ঘ তিন দশক ধরে নীরব, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন রামের নামেই মৌনব্রত ভাঙবেন ‘মৌনী মাতা’

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথা বলেননি তিন দশক। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যেদিন তার অভিপ্রায় পূরণ হবে সেদিনই ভাঙবেন নিজের মৌনব্রত (Maun Vrat)। ধনুকভাঙা পণ ছিল তার। অবশেষে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ভাঙতে চলেছেন তার মৌনব্রত। কথা হচ্ছে ঝড়খণ্ডের ৮৫ বছর বয়সী সরস্বতী দেবীকে (Saraswati Devi) নিয়ে। তিন শেষবারের মত কথা বলেছিলেন, আজ থেকে তিন দশক আগে বাবরি মসজিদ ভাঙার দিন।

আগামী ২২ জানুয়ারি স্বপ্ন পূরণের দিন ধানবাদের সরস্বতী দেবীর।স্বপ্ন পূরণের সাক্ষী হতে তিনি পাড়ি দিয়েছেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। নিজের চোখে দেখবেন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। পরিবার সূত্রে খবর, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় শেষবারের মত কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময়ই পণ নিয়েছিলেন, যেদিন রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হবে সেদিন মুখ খুলবেন তিনি।

   

সূত্রের খবর, গত সোমবার রাতেই ধানবাদ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন সরস্বতী দেবী। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি পরিচিত ‘মৌনী মাতা’ নামেই। দীর্ঘ তিন দশক তিনি কোনও কথা বলেননি। প্রয়োজন, অপ্রয়োজন সবকিছু তিনি আকারে ইঙ্গিতেই বোঝাতেন। জটিল বিষয় হল তা খাতায় লিখে বোঝাতেন।

আরও পড়ুন : হয়ে গেল ট্রায়াল! এবার আরও জোরে ছুটবে বন্দে ভারত, দার্জিলিং মেল! কমল হাওড়া-NJP-র দূরত্ব

তবে ২০২০ সাল অবধি দিনে ১ ঘন্টা কথা বলতেন। তবে যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেন সেদিন থেকে সম্পূর্ণ রূপে মুখে তালা আঁটেন। এই বিষয়ে তার ছেলে হরেরাম আগারওয়াল বলছেন, ‘১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যেদিন বাবারি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে, সেই দিন থেকে আমার মা শপথ নিয়েছিলেন যে, অযোধ্যায় যতদিন না রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হচ্ছে, ততদিন তিনি মৌন থাকবেন।’

আরও পড়ুন: ‘ওরা সিপিএমের লোক, মমতা এনে…’, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তুলোধুনো শুভেন্দুর

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে সরস্বতী দেবীর স্বামী প্রয়াত হন দেবকীনন্দন। তারপর থেকেই নিজের সবকিছু উজাড় করে দেন শ্রীরামের চরণে। নিজের গোটা জীবনটাই তিনি উৎসর্গ করেছেন শ্রীরামের চরণে। পরিবারের কথা বললে, তার ৮ টি সন্তান রয়েছে। যদিও তার বেশিরভাগ সময়টাই কাটে তীর্থ স্থানে। এর আগে সাল ২০০১ এ মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে তপস্যা করতে গেছিলেন বলেও শোনা যায়।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর