বিপাকে সন্দেশখালির ‘বাঘ’! CBI-র পর এবার শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে মরিয়া ED

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তবে আদালতের নির্দেশে বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে এর মাঝেই সামনে এল বড় খবর। সিবিআই (CBI) হেফাজত শেষ হলেও এবার আরও বড় বিপাকে পড়তে পারেন শাহজাহান!

আগেই জানা গিয়েছিল, সিবিআইয়ের পর এবার সন্দেশখালির নেতাকে হেফাজতে চাইছে ইডি (Enforcement Directorate)। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, এই বিষয়ে শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদনও করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বর্তমানে শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি আমদানি রফতানি সম্বন্ধিত মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি (ED)। সেই বিষয়েই কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে খবর।

ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সকল সম্পত্তির মধ্যে জমি, মাছের ভেড়ি পাশাপাশি ফ্ল্যাটও রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শাহজাহান এবং তাঁর ভাই শেখ আলমগারিরের দু’টি গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে বেরিয়ে তুমুল ক্ষোভের মুখে TMC প্রার্থী সায়নী ঘোষ! তারপর যা হল….

আমদানি রফতানি সংক্রান্ত এই মামলা সম্বন্ধে শাহজাহানকে জেরা করতে চান ইডি আধিকারিকরা। সেই কারণে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে। কলকাতার বিশেষ ইডি আদালতে আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে আবেদন করতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথমে উঠে এসেছিল সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের নাম। গত ৫ জানুয়ারি এই মামলায় তাঁর বাড়িতে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। তবে তল্লাশি চালাতে পারেননি। উত্তেজিত জনতার আক্রমণের মুখে পড়ে প্রাণ হাতে করে পালাতে হয় তাঁদের। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠে আক্রমণের অভিযোগ।

enforcement directorate ed may want sheikh shahjahan in custody

ইডির ওপর হামলার এই ঘটনার পর প্রায় দু’মাস ফেরার ছিলেন শাহজাহান। বারবার আশ্রয় বদলে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে সন্দেশখালির কাণ্ডের তদন্ত করছে উক্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর