বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের মহাকাশ সংস্থা ইসরো (ISRO) তথা গোটা দেশের জন্য একটা স্মরণীয় বছর হতে চলেছে ২০২৩। এই বছরেই একাধিক আন্তঃগ্রহ মিশনের (Interplanetary Mission) লক্ষ্য নিয়েছে সংস্থাটি। যেমন, গত শুক্রবারই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চন্দ্রযান-3 (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। লক্ষ্য চাঁদের (Moon) দক্ষিণ মেরুতে (South Pole) অবতরণ করা।
আর এবার খবর, চাঁদের পর সূর্য মিশনের (Mission Sun) প্রস্ততি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই গুঞ্জন অনেকদিন আগে থেকেই ছিল যে, সূর্যমিশনের জন্য আদিত্য L1 (Aditya L1) নামক একটি করোনাগ্রাফি স্যাটেলাইট পাঠাবে ইসরো। আর চন্দ্রযান-3 এর সফল উৎক্ষেপণের পর সেই গুঞ্জন আরো জোরদার হয়ে উঠেছে।
মিডিয়া সূত্রে খবর, মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের প্রথম ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট L1-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। এই পয়েন্টের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। আর তা হল, কোনও গ্রহণ ছাড়াই সূর্যকে অবিচ্ছিন্ন ভাবে দেখার। এই মিশন সফল হলে ভারত যে কতটা লাভবান হবে সে কথা বলাই বাহুল্য।
যদিও ইসরোর তরফ থেকে আদিত্য L1 লঞ্চ করার কোন দিনক্ষণ এখনই সামনে আসেনি। তবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ নাগাদ এই মিশনে নামতে পারেন দেশের বিজ্ঞানীমহল। এদিকে চন্দ্রযানের কথা বললে, আপাতত দ্বিতীয় কক্ষপথে ঘুরছে চন্দ্রযান 3। আগামী ২৩ অগস্ট চন্দ্রযানটি চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে।
আদিত্য L1-এর নামকরণ : সনাতন ধর্মমতে সূর্যকে দেবতা মানা হয়। সেই দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই স্যাটেলাইটের নামকরণ করা হয়েছে। আর L-1 হল আর্থ-সোলার সিস্টেমের ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট। এই দুটিকে মিলয়েই নাকি স্যাটেলাইটটির নাম রাখা হয়েছে আদিত্য L1। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে বলা হয়েছে, এই স্যাটেলাইটটি সৌরজগতের একাধিক বিষয় অধ্যয়ন করবে। তার মধ্যে রয়েছে করোনাল ভর নির্গমনের গতি এবং তার উৎস।