গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ, গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা! অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রইল নামখানা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল রাজ্যে! শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর এক মহিলাকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করা হয়। অত্যন্ত ঘৃণ্য এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার নামখানায়। মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মূলত, ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই ওই মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়।

জানা গিয়েছে যে, গত শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতেই ছিলেন বছর চল্লিশের ওই মহিলা। ভোর ৪ টে নাগাদ শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হন তিনি। ঠিক তখনই ৫ জন যুবক এসে ওই মহিলার মুখ চেপে ধরে তাঁকে বাড়ির দোতলায় তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, সেখানে তাঁকে বেঁধে ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করে। তাঁর সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।

এমতাবস্থায়, ওই অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে চিনতে পেরে যান ওই মহিলা। তারপরই অভিযুক্তরা প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়িতে থাকা কেরোসিন নিয়ে মহিলার গায়ে ছিটিয়ে দেয়। এছাড়াও, ওই মহিলার গোপনাঙ্গেও কেরোসিন ঢেলে দিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, এই ঘৃণ্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মহিলা বাঁচার জন্য চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা শুনতে পেয়ে তৎক্ষনাৎ বেরিয়ে আসেন। ঠিক তখনই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। যদিও, তারপরে লোকলজ্জার ভয়ে পুরো ঘটনাটি চেপে যান নির্যাতিতা। কিন্তু, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। এমতাবস্থায়, প্রথমে তাঁকে নামখানা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপরেই পুরো বিষয়টি ক্রমশ স্পষ্ট হয়।

এই ঘটনার পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই চরম আতঙ্কে রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাতিবুনিয়ার দ্বিতীয় ঘেরির বাসিন্দারা। এদিকে, ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে নামখানা থানার পুলিশ।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর