বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) হয়তো ভেবেছিল যখন জাদেজাদের (Ravindra Jadeja) দুরন্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে তারা ১৯৯ রানে আটকে ফেলেছে, তখনই তারা ম্যাচ বার করে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা ছিল অনেকটাই ভিন্ন। স্টার্ক ও হ্যাজেলউডের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ভারতের টপ অর্ডার। কিন্তু এরপর কোন ঝুঁকি না নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করে কিছুটা ভাগ্যের সঙ্গ সহায় করে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন লোকেশ রাহুল (KL Rahul) এবং বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেন রাহুল।
প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তারা ম্যাচে ছিল ততক্ষণ যতক্ষণ ব্যাটিং করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথ। কিন্তু কুলদীপ যাদব ওয়ার্নারকে ফেরাতেই অস্ট্রেলিয়ার পতন শুরু হয়। এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন জাদেজা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন স্মিথ (৪৬)। অশ্বিন, জাদেজাদের সামলে স্টার্ক এবং কামিন্স ভারতের সামনে ২০০ রানের টার্গেট রাখতে সাহায্য করেন।
এরপর ম্যাচের প্রথম ওভারেই শুভমান গেলের জায়গায় ওপেন করতে নামা ঈশান কিষাণকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতীয় শিবিরে চিন্তার ঢেউ তুলে দেন স্টার্ক। দ্রুততম বোলার হিসাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ১৮ ইনিংসে ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর হ্যাজেলউড নিজের প্রথম ওভারে রোহিত শর্মা এবং শ্রেয়স আইয়ারকে ফিরিয়ে ভারতকে পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। মাত্র ২ রানের স্কোরে ভারতের ৩ উইকেট চলে যায়।
কিন্তু এরপর অস্ট্রেলিয়াকে আর কোন সুযোগ দেয়নি রাহুল ও কোহলির জুটি। মাত্র একটি সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া বিরাট কোহলিকে ড্রেসিংরুমে ফেরানোর। কিন্তু ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ মিচেল মার্শ বিরাট কোহলির ক্যাচ নিতেও ব্যর্থ হন। এরপর দুজনেই অত্যন্ত ধীর গতিতে ব্যাটিং করে নিজেদের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। ৮৫ রান করে পুল করতে গিয়ে ফের হ্যাজেলউডের শিকার হন কোহলি। কিন্তু রাহুল সেই ভুল করেননি।
আরও পড়ুন: ODI ফরম্যাটের ভিভিএস লক্ষ্মণ! লোকেশ রাহুলের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং দেখে প্রশংসায় বিশেষজ্ঞরা
চেজ মাস্টার বলে পরিচিত বিরাট কোহলির থেকেও এদিন ঠান্ডা মাথার এবং বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস খেলেছেন রাহুল। শেষপর্যন্ত ১১৫ বলে ৯৭ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। শতরান না পাওয়ায় তাকে কিছুটা হতাশ দেখাচ্ছিল। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে এমন ভাবেই যদি ব্যাটিং করতে থাকেন তাহলে ভবিষ্যতে অবশ্যই শতরান আসবে তার ব্যাট থেকে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অত্যন্ত ভালো মানের কিপিংও করেছেন তিনি। ৫২ বল বাকি থাকতেই এদিন ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন রাহুল।