ঘনিয়ে আসছে বড় বিপদ? মহাকাশে বিশাল গর্তের সন্ধান পেল NASA! বিজ্ঞানীরা জানালেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশ (Space) সংক্রান্ত গবেষণার সাথে বছরের পর বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মাধ্যমেই আমরা প্রায়শই জানতে পারি অবাক করা সব তথ্য। পাশাপাশি, NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র মতো মহাকাশ গবেষণার সংস্থাগুলি মহাকাশের প্রতিটি ঘটনার ওপর কড়া নজরও রাখছে। এর কারণ হল মহাকাশের সাথে পৃথিবীর প্রত্যক্ষ সংযোগ রয়েছে।

অর্থাৎ, মহাকাশে কিছু ঘটলে তার প্রভাব পৃথিবীতেও দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পৃথিবীর তাপমাত্রা মহাকাশের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে থাকা গর্ত দ্বারাও প্রভাবিত হয়। এমতাবস্থায়, মহাকাশ সংস্থা NASA জানতে পেরেছে যে, মহাকাশে লক্ষ লক্ষ গর্ত রয়েছে। এর জন্য দায়ী হল পৃথিবীর দূষণ। কিন্তু এখন যে গর্তটি পাওয়া গেছে সেটি এত বড় যে এর ভেতরে ৮০০-রও বেশি সূর্য থাকতে পারে।

NASA found a hole in space

এদিকে, এই গর্তের আকার অত্যন্ত বড় হলেও এটি মানুষের চোখ দিয়ে দেখা অসম্ভব। NASA-র মতে, মেসিয়ার ৪ নামের এই নক্ষত্রের দলে হাজার হাজার তারা রয়েছে। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত রয়েছে। NASA তার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এই নক্ষত্রের উপর নজর রেখেছিল, যেখানে বিজ্ঞানীরা একটি বড় গর্ত দেখতে পান।

আরও পড়ুন: UPSC-তে হয়েছিলেন ৩ বার ব্যর্থ! পরিবারের সমর্থন পেয়ে চতুর্থবারে বাজিমাত করে IAS হলেন প্রিয়দর্শিনী

খুব শক্তিশালী টেলিস্কোপ: উল্লেখ্য যে, স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের এডুয়ার্ডো ভিট্রাল এই টেলিস্কোপটি পরিচালনা করেন। তিনি জানান যে, হাবল টেলিস্কোপ ছাড়া এমন জিনিস দেখা যায় না। এদিকে, বলা হয় যে, শুধুমাত্র মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই ১০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্ল্যাক হোল রয়েছে। কিন্তু এবারে সন্ধান পাওয়া গর্তটি এখনও পর্যন্ত মহাকাশে খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় গর্ত।

আরও পড়ুন: কিছুতেই মিটছেনা সমস্যা! এবার ৯২২ কোটির ট্যাক্স নোটিশ পেলেন ঋণে ডুবে থাকা আম্বানি

ব্ল্যাক হোল কি: জানিয়ে রাখি যে, ব্ল্যাক হোলের ভিতরে খুব শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ আছে। বলা হয়ে থাকে, এটি এতটাই শক্তিশালী যে এর ভেতর থেকে আলোও বের হতে পারে না। গবেষকরা বারো বছর ধরে মেসিয়ার ৪-এর নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। এখন এর ভেতরেই বড় গর্ত দেখা গেছে। এই গবেষণাটি সম্প্রতি রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিসে প্রকাশিত হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, যে এই গর্তগুলির মাধ্যাকর্ষণ শক্তি খুব শক্তিশালী। যার কারণে যেকোনো কিছুর পক্ষেই বেঁচে থাকা কঠিন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর