বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুটা হলেও শারীরিক উন্নতি হয়েছে। তবে মানসিকভাবে এখনো পর্যন্ত বিপর্যস্ত। মালগাড়ি ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের (Kanchanjunga Express) সেই সংঘর্ষের ছবি আজও যেন চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে যে মালগাড়ি ধাক্কা দিয়েছিল, তার সহকারি চালক এখনো আতঙ্কে মাঝেমধ্যেই হারিয়ে ফেলছেন জ্ঞান।
সেই সহকারী চালক মন্নু কুমারের স্ত্রী কিরণকুমারী এই কথা জানিয়েছেন। মন্নুর স্ত্রী বলছেন, “ভয়ংকর আতঙ্কিত হয়ে আছে, ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হচ্ছে। শরীরের কোথাও ব্যথা হলে হাত দিয়ে দেখিয়ে যন্ত্রণায় ডুকরে কেঁদে উঠছে। ঘুমের মধ্যেই কেঁপে কেঁপে উঠছে মন্নু।” কিরণকুমারী শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে স্বামীর শারীরিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন রেলকর্তাদের একাংশের বিরুদ্ধে।
আরোও পড়ুন : ভোটের হার থেকে শিক্ষা, ‘অন্নদাতা’দের জন্য এবার বিরাট ‘সারপ্রাইজ গিফট’ মোদীর
রেল অফিসারদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন রেলে নিয়োগ না হওয়ায় চালক ও সহকারী চালকের সংখ্যা রুটে চলা ট্রেনের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই চালক ও সহকারী চালকদের উপর দিনের পর দিন ভয়ংকর মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন রেলের অফিসারদের একটা বড় অংশ। দিনের পর দিন না ঘুমিয়ে, বিশ্রাম না নিয়ে টানা ৭০-৭২ ঘণ্টা চালকদের ডিউটি করতে বাধ্য করছেন ওই রেল অফিসাররা।’’
ফাঁসিদেওয়ায় শিয়ালদহমুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাথে মালগাড়ির সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথমে জানানো হয়েছিল যে মৃত্যু হয়েছে মাল গাড়ির দুইজন চালকেরই। তবে পরে জানা যায় সহকারি চালক মন্নু গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে। প্রয়াগরাজের বাসিন্দা মন্নু। তবে গত ২ বছর ধরে মন্নু ও পরিবার বাস করছে শিলিগুড়ি শহরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্য সেন কলোনিতে। বুধবার মন্নুর পরিবারের সাথে দেখা করতে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।