বাংলা হান্ট ডেস্ক : মণিপুরের (Manipur Violence) পরে, এবার নুহ (Nuh Violence)! আইন সংস্থাগুলি ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ২০০০ অভিবাসীদের আইডি পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছে৷ নুহ হিংসার ঘটনায় পুলিস দুই রোহিঙ্গাকে (Rohinga) গ্রেফতার করে। তদন্তে জানা গেছে যে সংঘর্ষের অনেক অভিযুক্তই মায়ানমার (Myanmar) থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী৷
এরা আসাম এবং বাংলা থেকে অবৈধ পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছিল। ধীরে ধীরে নুহ শহরে তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। এই গোষ্ঠীর লোকেরাই কার্যত ভাড়ায় দাঙ্গা লাগায়। দিল্লি দাঙ্গার সাথেও তাদের যোগসূত্র ছিল বলে অভিযোগ।
নুহর পুলিস সুপার নরেন্দ্র বিরজানিয়া বলেন, ‘এই এলাকায় বসবাসকারীদের পরিচয়পত্র যাচাই করা দরকার। তবেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এখানে বসবাসের অনুমতি দেওয়ায় এই মানুষদের শোষণ করা হয়। তাদেরকে কর্যত জোর করে দাঙ্গাবাজদের সঙ্গে যোগদান করান হয়। এমনকি স্থানীয়রা তাদের মহিলাদের উপরও অত্যাচার করে এমন রিপোর্টও পেয়েছি। পরিচয়পত্রগুলি যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক সূত্রে খবর এই অভিবাসীদের নুহ থেকে সরানোর এবং ফতেহাবাদের মতো এলাকায় বসতি স্থাপনের জন্য একটি সুপারিশ করা হয়। ইতিমধ্যে, নুহ পুলিও আরাবল্লি পাহাড়ে ২৪ঘণ্টা ড্রোন নজরদারি শুরু করেছে যাতে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা সম্ভব হয়।
বিরজানিয়া জানান, ‘আমরা এলাকায় চিরুনি চালাচ্ছি এবং এখন ড্রোনও কাজ করছে। আমরা কয়েকদিন পরে তদন্তের বিশদ বিবরণ দেব।’ পুলিস এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত ৫৬টি অভিযোগে প্রায় ২০০ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।