বাংলা হান্ট ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সাত জন্ম পর্যন্ত অটুট থাকে। কিন্তু, বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার পেছনে থাকছে বিভিন্ন কারণও। তবে, এবার এমন একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে যেটি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন প্রত্যেকেই। মূলত, এবার ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গোড্ডাতে একজন যুবতী চাকরি পেতেই বিয়ের পর তাঁর প্রেমিকের সাথে উধাও হয়েছেন। যদিও, সামনে এসেছে আরও একটি অবাক করা কাহিনিও।
পিজ্জা ডেলিভারির কাজ করে পড়িয়েছেন স্বামী: জানা গিয়েছে, গোড্ডা নগর থানা এলাকার কাথৌন গ্রামের বাসিন্দা পেশায় পিজ্জা ডেলিভারি বয় টিঙ্কু যাদব আড়াই লক্ষ টাকা লোন নিয়ে স্ত্রীকে নার্সিং কোর্স করিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী প্রতারণা করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। আর তারপরেই এই সামগ্রিক বিষয়টি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই টিঙ্কু যাদব তাঁর স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকা সত্বেও স্ত্রীকে পড়িয়েছেন: এই প্রসঙ্গে টিঙ্কু যাদব জানিয়েছেন, গোড্ডা শহরের কাথৌন এলাকার বাসিন্দা প্রিয়া কুমারীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর তাঁর স্ত্রী আরও পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন এবং তিনি একজন মেধাবী ছাত্রীও ছিলেন। এই কারণে, আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়া সত্বেও, টিঙ্কু তাঁর স্ত্রীকে পড়াশোনায় সাহায্য করেন এবং তাঁকে শকুন্তলা নার্সিং স্কুলে নার্সিং কোর্সে ভর্তি করান। এজন্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন টিঙ্কু।
আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! মিসেলেনিয়াস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করল WBPSC, এভাবে করুন আবেদন
প্রতিবেশীর সাথে প্রেম: এদিকে, বিয়ের দেড় বছর পর টিঙ্কুর স্ত্রী প্রতিবেশী দিলখুশ রাউতের প্রেমে পড়ে যান। এমনকি, নার্সিং কোর্স শেষ হতেই ওই যুবতী তাঁর প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান। টিঙ্কু জানান, তিনি ঋণ নিয়ে এএনএম ডিগ্রি পাওয়ার জন্য স্ত্রীকে নার্সিং কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন। দিনরাত পরিশ্রম করে কলেজের ফি পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু, এমন ঘটনা ঘটবে তিনি কল্পনাও করেন নি।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের হঠাৎ “রুট” পরিবর্তনে ভাসছে বাংলা! কবে থামবে বৃষ্টি? যা জানালো হাওয়া অফিস….
আরও জানা গিয়েছে যে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী প্রিয়া কুমারী কলেজ ছুটির পরে প্রেমিকের সাথে দিল্লিতে পালিয়ে যান এবং সেখানে কোর্ট ম্যারেজের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি পোস্ট করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিষয়টি জানতে পারেন টিঙ্কু। তারপর তিনি ভেঙে পড়েন। যদিও, তিনি থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে সবকিছু জানান। এই প্রসঙ্গে থানার ইনচার্জ উপেন্দ্র মাহাতো জানিয়েছেন, পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি, উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।