ভাইরাল হওয়ার লক্ষ্যে মৃত্যুর নাটক করে রিল বানাল যুবক! বাড়িতে পুলিশ পৌঁছতেই ছুটল কালঘাম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত সময় এগোচ্ছে ততই সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে, বর্তমান সময়ে নেটমাধ্যম ব্যবহার করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। আবার অনেকেই থাকেন যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় “ভাইরাল” (Viral) হওয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় এমন সব কান্ড করে বসেন যেগুলি স্থান পেয়ে যায় খবরের শিরোনামেও।

সম্প্রতি ঠিক সেইরকমই এক ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে আগ্রার এক যুবক ভাইরাল হওয়ার চক্করে আত্মহত্যার ভান করে একটি রিল পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে। মূলত, ওই যুবক এমন অভিনয় করেছিল যেখানে পুরো বিষয়টি সত্য বলেই মনে করেছিলেন সবাই।

শুধু তাই নয়, ওই রিল ভিডিওটি আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ওই যুবকটি একটি বা দু’টি নয়, প্রায় ৪০ টি ওষুধ একসাথে খেয়ে ফেলে। পাশাপাশি, ওই ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে সে “বাহুবলী” সিনেমার জনপ্রিয়  “ক্যাসি হ্যায় ইয়ে আনহোনি” গানটি জুড়ে দেয়। গত শনিবার ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি আপলোড করে ওই যুবক।

যদিও, ওই ভিডিও আপলোডের পর যুবক স্বাভাবিকভাবেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এদিকে, যুবকের রিলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হতে শুরু করে। এমনকি, একটা সময়ে তা পুলিশের কাছেও পৌঁছে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের টিম রিল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে এবং তদন্তের পরে জানা যায় যে রিলটি চিত্রাহাট থানার অন্তর্গত সুরাজপুর শহরের বাসিন্দা অবিনাশ নামের এক যুবক তৈরি করেছেন।

whatsapp image 2023 02 26 at 7.57.57 pm

তারপরেই সার্ভিল্যান্স সেলের সাহায্যে পুলিশ অবিনাশের বাড়ির লোকেশন খুঁজে বের করার পর তার বাড়িতে পৌঁছে যায়। এমতাবস্থায়, পুলিশ যখন অবিনাশের বাড়িতে পৌঁছয় তখন দেখা যায় অবিনাশ ঘুমোচ্ছিল। এদিকে, তৎক্ষণাৎ পুলিশ অবিনাশকে জেরা করে জানতে চায় যে সে ঠিক কোন ওষুধ খেয়েছে? অবিনাশ পুলিশকে জানায় মোটা হওয়ার জন্য সে ভিটামিনের ওষুধ খেয়েছিল। এদিকে, পুলিশ বাড়িতে পৌঁছনোর পর অবিনাশের রিল তৈরির কথা জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। এই প্রসঙ্গে পূর্ব আগ্রার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ওই যুবক সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত হওয়ার জন্য এমন রিল তৈরি করেছিল সে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর