কারো কোলে সন্তান, কেউ বা যাবে ঘুরতে! রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনপত্র দেখে চক্ষু চড়কগাছ কর্তাদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেউ বা বিবাহিত, কেউ বা আবার অবস্থাপন্ন ঘরের মেয়ে, কারো মেটাতে হবে মোটা টাকার ঋণ, আবার কেউ বা ঘুরতে যেতে চায়- রূপশ্রী প্রকল্পের (rupashree project) জমা পরা আবেদনপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে ভিড়মি খাওয়ার যোগাড় ব্লকের কর্তারা। এমনই বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে এসেছে নাকাশিপাড়া এলাকা থেকে।

এমন বিষয় প্রকাশে আসতেই  নড়ে-চড়ে বসেছেন ব্লক অফিসের কর্তারা। সূত্রের খবর, আবেদনকারী অন্তত ১০ টি পরিবারকে শোকজ করেছে প্রশাসন। অর্থাৎ, কেন তাঁরা এমন আবেদন জানিয়েছেন, সেইজন্য তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে।

marriage.1.345544

এবিষয়ে নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘রূপশ্রী প্রকল্পের জমা পড়া সকল আবেদনপত্র আমরা ভালো করে যাচাই করে, তবেই টাকা দিচ্ছি। আর সেখানেই কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছে। এর জন্য কারণ ব্যাখ্যা করার কথা বলা হয়েছে’।

এমন ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপির নাকাশিপাড়ার জেলা পরিষদ ১৩-র সহ-সভাপতি দেবব্রত চক্রবর্তী শাসকদলের দিকে তোপ দেগে বলেন, ‘আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকেই গরীব পরিবারের হওয়ায়, তাঁদের এই টাকা প্রয়োজন। এই ঘটনার পেছনে কিছু স্থানীয় তৃণমূল নেতা রয়েছে। ব্লক প্রশাসন যে এই চক্রকে ভাঙার চেষ্টা করছে, তা শুনে ভালো লাগল’।

অন্যদিকে নিজেদের দিকে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে নস্মাৎ করে দিয়ে নাকাশিপাড়া ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ শেখ জানিয়েছেন, ‘এই সমস্ত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। দলের কোন হাত নেই এখানে, গোটা বিষয়টাই প্রশাসনের’।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরবর্তীতে গিরিধারীপুরের সালমা সুলতানার বাবা জাহাঙ্গির বিশ্বাস বলেছেন, ‘নিয়ম মেনেই এই আবেদন করেছিলাম আমরা। কিন্তু পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে, এক সপ্তাহ আগে মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায়, এই সমস্যা হয়েছে’। আবার শালিক গ্রামের পাপিয়া খাতুনের ভাই সেলিম মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘বোনের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার জন্য, এই আবেদন করি’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর