বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষমার পর থেকে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে । প্রায় পনের দিন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় অবশেষে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন রাজ্যপাল ভগত সিং কেশিয়ারি । কিন্তু তার মাঝেই হঠাত্ই ২৩ নভেম্বর সকালে এক নতুন রাজনৈতিক নাটকের গল্প শুরু হয় । দেবেন্দ্র ফড়নবীসের মুখ্যমন্ত্রী পদে সপথ গ্রহণের পর থেকেই আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা ।
অবশেষে মঙ্গলবার সকালে বিরোধীদের ষোল কলা পূর্ণ হয়েছে । বুধবার বিকেলেই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত । শনিবার বিকেলে এনসিপি কংগ্রেস ও শিবসেনার দায়ের করা মামলার শুনানি হয় রবি ও সোমবার, দুদিন দুই পক্ষের বাদানুবাদ শুনে অবশেষে বুধবারই আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সু্প্রিম কোর্টের রায় দানের পরই ট্যইটারে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা ।
প্রতিক্রিয়ায় কে কি জানালেন দেখুন-
দেশের শীর্ষ আদালতের রায় ঘোষনার পর কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী বলেন, “আমি এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।”
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান দেশের শীর্ষ আদালত তাঁদের দাবি ২৪ ঘন্টার মধ্যে মান্যতা দেওয়ায় তিনি খুশি বলে জানান ।দেশের শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে আইনজীবি সিংভি মহারাষ্ট্রে জোর করে সরকার গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর মতো সাংবিধানিক পদের অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন ।
Nawab Malik, NCP on ‘SC orders Floor Test in Maharashtra Assembly on Nov 27’: Today’s verdict of the SC is a milestone in Indian democracy. Before 5 pm tomorrow, it will be clear that BJP’s game is over. In a few days, there will a govt of Shiv Sena-NCP-Congress in Maharashtra. pic.twitter.com/dTaw83RwqT
— ANI (@ANI) November 26, 2019
এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এনসিপি নেতা নবাব মালিক এই রায়কে মাইলস্টোন বলে উল্লেখ করেন, একি সঙ্গে বুধবারের আস্থা বোটের পর বিজেপির খেল খতম হবে বলে আসা প্রকাশ কেন । পাশাপাশি মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকার গঠন হবে বলেও জানান তিনি । অন্যদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন ।
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত আদালতের রায়দানের পর সত্যের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন । একই সঙ্গে তাঁরা সকলে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন ।