বাংলা হান্ট ডেস্ক : স্বপ্নদীপের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এল আরেক ছাত্রমৃত্যুর খবর। যাদবপুরের পাশাপাশি এবার মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল আরজিকর। মৃত ছাত্রের নাম শুভ্রজ্যোতি দাস, বয়স ২৩। তিনি ডাক্তারির পড়ুয়া ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক ধারণা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। যদিও মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
সূত্রের খবর, গত বুধবার গভীর রাতে জরুরি বিভাগে ওই ছাত্রকে ভর্তি করানো হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিসিনে। মেডিসিন থেকে ফের তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় সিসিইউয়ে। সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে ভারপ্রাপ্ত ডাক্তাররা। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। শোকস্তব্ধ বন্ধু-বান্ধবরাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছোটবেলা থেকেই নিমতা গোলবাগানে কাকার বাড়িতে থাকত শুভ্রজ্যোতি। যদিও মানুষজনের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতনা সে। খুব একটা বন্ধুবান্ধব ছিল বলেও জানা যায়নি। ইন্ট্রৈভার্ট বলতে যা জানি, তেমনটাই ছিল এই ডাক্তারি পড়ুয়া। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগতেন বলেও জানা যাচ্ছে। অবসাদ কাটানোর উপায় ও ডাক্তারি ক্ষেত্রে কীভাবে সাফল্য পাওয়া যায়, তা নিয়ে শুভ্রজ্যোতি নেটে সার্চও করেছিল। শুভ্রজ্যোতির মোবাইল ঘেঁটে তেমনটা জানতে পারেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন : বারবার লটারি কেটেও ব্যর্থ, এবার এই সিক্রেট ফর্মুলায় বাজিমাত! বীরভূমের হোটেলকর্মীর খুলে গেল কপাল
জুনিয়র ডাক্তারের এই রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন ভিড় করছে মানুষের মনে। পুলিশি তদন্তে তাঁর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার তাকে শেষবারের মত দেখেছিলেন তারা। পরিবারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়, পড়াশোনায় তুখোড় ছিলেন শুভ্রজ্যোতি। সারাটাদিন নিজের পড়াশোনা নিয়েই ডুবে থাকতেন। যে কারণে তাকে খুব একটা ঘাটাতোনা কেউ। তবে ভেতরে ভেতরে যে অন্য কিছু চলছে তা বুঝে উঠতে পারেনি কেউই।
আরও পড়ুন : দূরপাল্লার ট্রেনের কামরায় নেই বিদ্যুৎ! রেগেমেগে টিটিকেই বাথরুমে বন্ধ করে দিল যাত্রীরা, হুলস্থূল কাণ্ড
প্রসঙ্গত, শহরে একের পর এক ছাত্রের মৃত্যু কাটগড়ায় তুলেছে শিক্ষানীতিকেই। শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়ত পড়ুয়াদের মন বুঝে উঠতে পারছেন না। আর না দিতে পারছেন একটা সুস্থ পরিবেশ। বিশেষ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যু রীতিমত নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। তদন্তকার্যে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই সৌরভ চৌধুরী নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা রাজ্য শুরু হয়েছে অ্যান্টি র্্যাগিং মুভমেন্ট।