বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মতুয়াদের জন্য কিছুই করেনি, ঠাকুরবাড়িতে বসে এমনটাই বলেছিলেন মমতাবালা ঠাকুর। এই বিলকে সমর্থন করেনি রাজ্যের অন্য প্রান্তে থাকা মতুয়া পরিবার এমনকি মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান মমতাবালা ঠাকুর নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তবে এবার চিত্রটা বদলে গেল। ঠাকুরবাড়ির দালান থেকে এবার হরির ধোনির মধ্য দিয়ে উঠছে হড়হড় মোদী অমিতের জয়ধ্বনি।
এক সময় কংগ্রেস সিপিএম তৃণমূল সবাই রাজত্ব করে গেছে কিন্তু শুকনো প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি তাই তো এবার দেশহীন তকমা থেকে বোধহয় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে, এমনকি তারা যে মনে প্রাণে ভারতীয় তার তো প্রমাণ মিলেছে এর আগে অনেকবার কিন্তু এ বার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মধ্য দিয়ে পরিচয় পাওয়া যাবে। বড় মা বীণাপানি দেবীর মৃত্যুর পর এবং লোকসভা ভোটের সময় থেকে মতুয়ারা যেন এক দিকে হয়ে গিয়েছিল যদিও সমবেত হয়ে নাগরিকত্বের দাবি জানিয়েছিল।
যদিও 71 সালের পর এ দেশের দলে দলে এসে রেশন কার্ড থেকে ভোটার কার্ড সবেরই সুবিধা পেয়েছে কিন্তু নাগরিকত্বের বেলায়? সত্যিই বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন বটে। তবে এই নাগরিকত্বের দাবি নিয়ে বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলছেন, এক সময় নাকি ওপরে মার খেয়ে দেশ ছেড়ে এ পারে এসেছিলেন এবং বাংলার মানুষের আশ্রয় দিলেও কিন্তু বঞ্চিত হয়ে পরগাছা হয়ে গেছেন তাঁরা তা ই শীতে হারানোর আতঙ্ক গ্রাস করে ফেলছে তাঁদের।
অন্যদিকে এক মতুয়া বৃদ্ধা আবার বলেছেন বাবা আগে কংগ্রেস করতাম তার পর সিপিএম তার পর তৃণমূলে করেছি কিন্তু সবাই আশ্বাস দিয়েছে তবে বিজেপিকে দেখলাম। তাঁরা বোধহয় খাঁটি ভারতীয় তালিকায় নাম তুলবে এমনটাই আশাবাদী তিনি।
কেন্দ্রের এই বিলের জন্য বিজেপি নেতারাও টার্গেট হয়েছেন সাধারণ মানুষের। তাই তো দেশজুড়ে প্রতিবাদের আগুন উস্কে উঠেছে। অসম থেকে ত্রিপুরা আবার মিজোরামে শুধু ক্যাব বিরোধী স্লোগান ও বিক্ষোভ মিছিল। তবে এই বিলকে সমর্থন করছে না রাজ্যের অন্যপ্রান্তে থাকা মতুয়া পরিবার। হ্যাঁ,এমনটাই বলছেন মতুয়া পরিবারের বর্ষীয়ান সদস্যা তথা মতুয়া মহা সংঘের প্রধান মমতা বালা ঠাকুর।
তাঁর কথায় তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ি মা সকলেই এই মতুয়াদের নাগরিকত্বের দাবিতে প্রাণপন লড়াই চালিয়েছে অথচ মেলেনি সুফল। এমনকি তাঁদের নিঃশ্বার্থ ভাবে নাগরিকত্বের দাবিতেও সিলমোহর পড়েনি। তাইযারা এদেশে এসেছে তাঁদের নথি দেখিয়ে নাগরিকত্ব নিতে হবে এর বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, এই বিল সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা অত্যন্ত কঠিন তাই এই বিল তাঁরা মনছেন না।