বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফাঁড়া যেন কাটছেই না। আবারও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর হামলার অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। জানা যাচ্ছে, সোমবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে হুগলির চন্দনপুরে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি করা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, ওই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের সি ফাইভ কামরায় হামলা চালানো হয়। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলকর্মীরা। কে বা কারা হামলা চালাল, তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে রেল পুলিস।
বছরের শুরু থেকে রাজ্যের প্রথম সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) যাত্রী পরিষেবা শুরু করে ভারতীয় রেল। তারপর থেকেই বারবার ওই ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়। প্রথমবার মালদহ ঢোকার পথে কুমারগঞ্জ, পরদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, তৃতীয়দিন অর্থাৎ রবিবার বিকেল নাগাদ বিহারের বারসোই স্টেশন ছাড়ার পর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়া হয়। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৯দিনে চতুর্থবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হল। এদিন সকাল ৬টা ৪০মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে পাথর ছোঁড়া হয়। জানা যাচ্ছে, ট্রেনের সি ফাইভ কামরার জানলার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হুগলির চন্দনপুর, মধুসূদনপুর, কামারকুণ্ডুতে রেললাইনের পাশে একাধিক চোলাই মদের ঠেক রয়েছে। মির্জাপুর থেকে মদ পাচার হয়। ওই নেশারুরা ট্রেনে হামলা চালাতে পারে বলেই মনে করছেন যাত্রীরা। বারবার পাথর হামলার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত সাধারণ যাত্রীরা। কে বা কারা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ‘হামলা’ চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিসিটিভি ফুটেজকে হাতিয়ার করে পাথর ‘হামলা’র বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এই ঘটনাতেও লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যাক, তা চান অনেকে। সে কারণেই বারবার ওই ট্রেনটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। এর জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে কালিমালিপ্ত করতে বসে রয়েছে বিজেপি। বিহারে হয়েছিল আগে। সেটাকে ব্যালান্স করতে এটা করেছে কিনা তা দেখা দরকার। আমরা চাই এই ধরনের সব ঘটনায় তদন্ত হোক।’