বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অগ্নি (Agni) সিরিজের সবথেকে অত্যাধুনিক সংস্করণ ‘অগ্নি প্রাইম” (Agni Prime) নামের মিসাইল পরীক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং বিকাশ সংগঠন (DRDO) দ্বারা বিকশিত এই মিসাইল সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ পরীক্ষণ করা হবে।
অগ্নি প্রাইম মিসাইলটি DRDO দ্বারা বিকশিত করা হয়েছে। অগ্নি প্রাইম মিসাইলটিকে ৪ হাজার কিমি রেঞ্জের অগ্নি-৪ আর ৫ হাজার কিমি রেঞ্জের অগ্নি-৫ মিসাইলে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অগ্নি প্রাইম মিসাইলের মারণ খমরা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার কিমি পর্যন্ত। আর এই মিসাইলটিকে অত্যাধুনিক সামগ্রী দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
অগ্নি প্রাইম মিসাইলকে দুটি পর্যায় আর সলিড জ্বালানির উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। মিসাইলটিকে অ্যাডভান্স রিং-লেজার জাইরোস্কোপে আধারিত নেভিগেশন সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত করা হবে। উভয় পর্যায়ে সম্মিলিত রকেট মোটর রয়েছে। এর গাইডেন্স সিস্টেমটি ইলেক্ট্রোমেকানিকাল অ্যাকিউইটরে সজ্জিত। প্রতিরক্ষা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে যে একক-স্তরের অগ্নি -১-এর বিপরীতে, ডাবল-স্টেজ অগ্নি প্রাইমকে নমনীয়তার সাথে রাস্তা এবং মোবাইল লঞ্চার দ্বারা লঞ্চ করা যেতে পারে।
সুত্র অনুযায়ী, অগ্নি প্রাইমে অত্যাধুনিক টেকনোলজির প্রয়োগের কারণে এটি তাঁর শেষ সংস্করণের থেকে কম ওজনি স্লিক মিসাইল শক্তি হতে চলেছে। এর মারণ ক্ষমতা আগের তুলনায় আরও বেশি হবে। যদিও, এর থেকে আর বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভারতে প্রথমবার ১৯৮৯ সালে মিডিয়াম রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইল অগ্নি-১ এর পরীক্ষণ হয়েছিল। সেই সময় এর মারক ক্ষমতা ৭০০ থেকে ৯০০ কিমি পর্যন্ত ছিল। ২০০৪ সালে সেই মিসাইলটিকে সেনায় যুক্ত করা হয়েছিল। আজ যদি অগ্নি প্রাইমের পরীক্ষণ সফল হয়, তাহলে এটি অগ্নি-১ এর জায়গা নেবে। ভারত এখনও পর্যন্ত অগ্নি সিরিজের পাঁচটি মিসাইল বিকশিত করেছে।