বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিবলিঙ্গে কন্ডোম পড়ানো ছবি শেয়ার করে বিতর্কে উঠে এসেছিলেন সায়নী। যদিও তিনি বলেছিলেন যে, ওই ছবি তিনি শেয়ার করেন নি তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কেউ বা কারা শেয়ার করেছিল। কিন্তু সায়নীর সাফাইয়ের পরও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কমেনি। আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সায়নীকে সেই ঘটনার জেরে মন্দিরে পুজো দিতে এবং বিবেকানন্দর মূর্তিতে মালা দিতে বাধা দিয়েছিল একদল মানুষ। তাঁরা অভিযোগ করে বলেছিল, হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া মানুষের এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো।
আর এবার সায়নীর সেই কন্ডোম কাণ্ডে সরব হলেন ওনার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপির প্রার্থী সায়নী ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, ২ মে ভোট গণনার পর সায়নীকে কন্ডোমের দোকান খুলে বসতে হবে। যদিও শুরুটা একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্ট নিয়ে হয়েছিল। বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন, আর সেটাই নিয়েই বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন সায়নী ঘোষ। আর এরপর সায়নীকে পাল্টা আক্রমণ করেন অগ্নিমিত্রা পাল।
যদিও, এরপর পাল্টা দিতে ছাড়েন নি সায়নীও। তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে বলেন, ‘আমি ওনার মতো অত নিচু লেভেলে নামতে পারব না। ওনার কথা ওনার বংশের পরিচয় দিচ্ছে। উনি কীভাবে বড় হয়েছেন, সেটা ওনার মন্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে।”
বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, তিনি আসানসোল দক্ষিণে জয়ী হয়ে সেখানে একটি মেডিক্যাল কলেজ আর একটি আইন কলেজ তৈরি করতে চান। এই নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ বলেছিলেন, অগ্নিমিত্রা পাল আসানসোলের ভূমিকন্যা হয়েও এতদিনে কেন এই কাজ করতে পারেন নি? সায়নীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেছিলেন, ‘উনি হয়ত ভুলে যাচ্ছেন যে আমি বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী মাত্র। যেখানে বিজেপির সাংসদ বিধায়কদের কাজ করতে দেয় না রাজ্য সরকার, সেখানে আমি একজন সাধারণ কর্মী হয়ে কি করে এই কাজ করব?”
এরপর অগ্নিমিত্রা পাল নিজের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে বলেন, ২ মে’র পর সায়নী কন্ডোমের দোকান খুলবে। বিজেপির প্রার্থীর এই মন্তব্যের পর সায়নী ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘আমি ওনার মতো অত নিচু লেভেলে নামতে পারব না। ওনার কথা ওনার বংশের পরিচয় দিচ্ছে। উনি কীভাবে বড় হয়েছেন, সেটা ওনার মন্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে।”