বাংলা হান্ট ডেস্ক : মিড ডে মিলে খাবারের জন্য শিশুদের আর হা করে থাকতে হবে না সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে। যদি এমন হয় তবে কেমন হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে।
অনেকেই বলছেন, মিড ডে মিলে বরাদ্দ করে একের পর এক নিয়ম জারি করছে কেন্দ্র৷ এই নিয়ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাত্র ৪-৫ টাকার বরাদ্দ পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া কিভাবে যায়? সেদিকে নজর না দিয়ে স্কুলে কিচেন গার্ডেন বানানোর যুক্তি কি সত্যি বাস্তব যোগ্য? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বুদ্ধিজীবীদের অনেকাংশ কিন্তু এমনটা যে নেই তা বলা যাবে না, বিভিন্ন মিশনারি ও বেসরকারি স্কুলে এই ধরনের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু আছে৷ কিন্তু সরকার ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এই ধরনের উদ্যোগ কিছু ক্ষেত্রে আগে নেওয়া হলেও এই প্রথম সমস্ত স্কুলের জন্য নতুন নীতি গ্রহণ করল কেন্দ্র৷ এর পেছনে দুটি কারন রয়েছে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের৷ প্রথমত, শিক্ষক পড়ুয়াদের কৃষি জমি কৃষি সৈয়দ সচেতন করে তোলা এবং পরিবেশ বিষয়ক আলোচনা করার একটা জায়গা করে তোলা ৷দ্বিতীয়ত, স্কুলের জমিতে পুষ্টিকর খাদ্যের চাষের জন্য বন্দোবস্ত করা৷ এছাড়াও রয়েছে পরোক্ষ অনেক কারণ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, উদ্যোগটি ভাল হলেও সমস্ত দ্যালয় এই নীতি প্রণয়ন করা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ কারণ শহরে এমন অনেক কিছুই রয়েছে যেখানে জায়গার অভাব৷ কীভাবে সেখানে বিকল্প হিসাবে চাষের ব্যবস্থা করা যাবে? সেটা নিশ্চিত করে বলা উচিত ছিল কেন্দ্রের৷ কিন্তু শুধু জায়গা সংকটের জন্য যদি এই প্রকল্প বন্ধ করতে হয় তবে এটা দুর্ভাগ্যের। এই কিচেন গার্ডেন তৈরির জন্য সাহায্য ও পরামর্শ করা হবে বলে কেন্দ্রের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ স্কুলের জমিতে সবজি ও ফল চাষ আদৌ কীভাবে সম্ভব!