বাংলাহান্ট ডেস্ক : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) আতঙ্কের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশবাসী। একজন বাদে ওই অভিশপ্ত বিমানে থাকা ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছিল ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। এ যাবৎ ভারতে ঘটে যাওয়া সবথেকে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) মধ্যে আহমেদাবাদ অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ঘটনার পরেই যে প্রশ্নটা উঠে এসেছিল, কী কারণে এই দুর্ঘটনা? ঠিক কী চলছিল সেই সময় ককপিটে? ঘটনার এক মাসের মাথায় অবশেষে জানা গেল কারণ।
প্রকাশ্যে আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট
গত মঙ্গলবার এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো জমা করেছিল তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। শনিবার তা প্রকাশ্যে এল। আর সেখানেই জানা গেল, ঠিক কী কারণে টেকঅফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) আগে ককপিটে দুই পাইলটের কথোপকথনও প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে। কী রয়েছে সেই ১৫ পাতার তদন্ত রিপোর্টে?
সামনে এল ককপিটের কথোপকথন: বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল দুটি ব্ল্যাকবক্স। তার মধ্যে একটি ছিল ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার’। ককপিটে পাইলটদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল তা রেকর্ড হয়েছে এই যন্ত্রে। তথ্য উদ্ধার করে জানা গিয়েছে, বিমানটি (Ahmedabad Plane Crash) টেকঅফের মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুটি ইঞ্জিনই। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জ্বালানির সুইচ। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার যন্ত্রের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই সময়েই একজন পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?’ অপর পাইলট উত্তর দেন, ‘আমি কিছু করিনি’।
আরো পড়ুন : ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে আসছে অ্যাকশন ফিল্ম, এই নায়িকা জুটি বাঁধছেন সলমনের সঙ্গে
কী কারণে দুর্ঘটনা: তদন্তকারী সংস্থা যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে আগের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিমানটি যখন গতি নেয়, তখনই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল দুটি ইঞ্জিনই। জ্বালানি পৌঁছাচ্ছিল না ইঞ্জিনে। ফলে কমতে থাকে বিমানের (Ahmedabad Plane Crash) গতি এবং উচ্চতা। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন পাইলটরা। দুই জ্বালানির সুইচ আবারও ‘কাটঅফ’ থেকে ‘রান’এ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তাঁরা। ইঞ্জিন ২ সাময়িক ভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরেওছিল বলে প্রকাশ রিপোর্টে। কিন্তু ঠিক করা যায়নি ইঞ্জিন ১। তার ফলে মেলেনি প্রয়োজনীয় ‘থ্রাস্ট’। এর আগে ATC কে পাঠানো অভিশপ্ত বিমানের (Ahmedabad Plane Crash) পাইলটের ‘মে ডে’ বার্তাতেও শোনা গিয়েছিল, ‘থ্রাস্ট’ পাওয়া যায়নি। পড়ে যাচ্ছে বিমান।
আরও পড়ুন : কাউন্সেলিংয়ের নামে বয়েজ হস্টেলে ডেকে আচ্ছন্ন করে ধর্ষণ! কসবার পর এবার শিরোনামে জোকা IIM
তদন্ত রিপোর্টে পাখির ধাক্কার কোনও উল্লেখ নেই। বিমানের সামনের দিকের ‘এক্সটেন্ডেড এয়ারফ্রেম ফ্লাইট রেকর্ডার’টি উদ্ধার করা গেলেও পেছনের দিকের ইএফআর প্রচণ্ড ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে গেল, কেনই বা গণ্ডগোল হল জ্বালানির সুইচে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত বোয়িং সংস্থা বা ইঞ্জিন অপারেটরদের কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি।