বাংলাহান্ট ডেস্ক: ১৪ জুন থেকে বলিউডে (bollywood) তোলপাড় শুরু হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যুতে। ১৪ জুন নিজের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে অভিনেতার দেহ। প্রথমটা কেউই বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি। তারপর থেকেই উঠে আসতে থাকে নানা রকম তত্ত্ব।
তবে নেটিজেন তথা বেশ কয়েকজন বলিউড তারকার বক্তব্য ছিল, খুনই হয়েছেন সুশান্ত। আত্মহত্যা তিনি করতে পারেন না। সেই খুনের সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উঠে আসতে থাকে নেপোটিজম, আর্থিক কারণ ও পরে মাদক যোগ। এক সময় জানা যায় সুশান্ত নিজেও মাদক সেবন করতেন।
এরই মাঝে সিবিআই নিজের তদন্তের কাজ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিল। ১৪ জুন অভিনেতার মৃত্যুর পরপরই কুপার হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টে উঠে আসে দীর্ঘক্ষণ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকার ফলেই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। আত্মহত্যার তত্ত্বটাকেই প্রাধান্য দেয় কুপার হাসপাতালের ময়না তদন্তকারী দল।
কিন্তু তাদের রিপোর্টে আশ্বস্ত না হওয়ায় ফের AIIMS এর চিকিৎসকদের একটি দলকে সুশান্তের ভিসেরা পরীক্ষা ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় সিবিআই। এর আগেই প্রকাশ্যে আসে ভিসেরা রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, অভিনেতার শরীরে বিষের কোনো চিহ্ন মেলেনি। তখন সিবিআই এই মামলায় আত্মহত্যার পাশাপাশি খুনের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়নি। কারন সুশান্তের মেডিক্যাল রিপোর্টে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ে বলে খবর।
There were no injuries on the body other than of hanging. There were no marks of struggle/scuffle on the body and clothes of the deceased: Dr Sudhir Gupta, Chairman of AIIMS Forensic Medical Board formed in #SushantSinghRajput death case
— ANI (@ANI) October 3, 2020
কুপার হাসপাতালে সুশান্তের দেহের যে ময়নাতদন্ত হয়েছিল সেই রিপোর্টে অনেক কিছুই লুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল AIIMS।
এবার সুধীর গুপ্তের নেতৃত্বে সুশান্তের ভিসেরা ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পরীক্ষা করার পর AIIMS এর চিকিৎসকদের দল এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে সুশান্তকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তাঁকে অত্মহত্যার জন্য কেউ প্ররোচনা দিয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি।