বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লির জামিয়া নগর থেকে হালালা করার একটি মামলা সামনে এসেছে। জামিয়া নগর পুলিশ এই মামলায় গত ৩০ আগস্ট এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল। এই বিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা এক মহিলা তাঁর প্রাক্তন স্বামী দ্বারা তাঁর বন্ধুর সঙ্গে হালালা করার প্রচেষ্টা, ধর্ষণের প্রচেষ্টা আর মারধরের অভিযোগ করেছে। জামিয়া নগরের বাসিন্দা ওই মহিলার অভিযোগের পর পুলিশ মামলার তদন্তে নামে।
FIR অনুযায়ী, নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন যে তিনি নিজের সন্তানদের সঙ্গে জামিয়া নগর এলাকায় বসবাস করেন। ২০১২ সালে রিয়াজুদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর নিকাহ হয়েছিল। কিন্তু রিয়াজুদ্দিন তাঁকে তিন তালাক দিয়ে দেয়। এবার প্রায় ৯ বছর পর আবারও রিয়াজুদ্দিন নিজের বন্ধুর সঙ্গে নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি গিয়ে তাঁকে হালালা করিয়ে আবারও বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
মহিলা জানান, অভিযুক্ত রিয়াজুদ্দিন বলেছে যে, তাঁর বন্ধুর সঙ্গে সে যদি হালালায় রাজি হয়ে যায়, তাহলে রিয়াজুদ্দিন আবারও তাঁকে নিকাহ করে ঘরে তুলে নেবে। নির্যাতিতা মহিলা অভিযোগ করে বলেছেন, এর বিরোধিতা করায় আমাকে মারধর করা হয়েছে আর আমার পোশাকও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমাকে ধর্ষণ করারও চেষ্টা করেছে। আমার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আশায় রিয়াজুদ্দিন সহ তাঁর বন্ধুও পালিয়ে যায়।
নির্যাতিতা মহিলা পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত রিয়াজুদ্দিন খান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল AIMIM-র সঙ্গে যুক্ত। রিয়াজুদ্দিন উত্তর প্রদেশ AIMIM-র সচিব বলে জানিয়েছেন তিনি। আর রাজনীতির ক্ষমতা দেখিয়ে রিয়াজুদ্দিন তাঁর সন্তানকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে বলে জানান নির্যাতিতা।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে রিয়াজুদ্দিন জানিয়েছেন যে, তিনি অনেকদিন আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে। রিয়াজুদ্দিন পাল্টা তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ও আমার কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করেছে। আমি না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে। আপাতত পুলিশ গোটা মামলার তদন্তে নেমেছে।