বাংলাহান্ট ডেস্ক : দরগায় চাদর চড়ানোর সময় অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিম (AIMIM) এর মুখপাত্র ওয়ারিশ পাঠানের মুখে কালি ছুঁড়ে মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের খাজরানা এলাকার হজরত নাহারশাহওয়ালি দরগায়। এই ঘটমার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে আটক করে তুলে দেন পুলিশের হাতে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ব্যাপারে ওয়ারিশ জানান, মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে লড়বে তাঁর দল। সেই কারণেই ইন্দোরে প্রচারে এসে মানুষের ভালোবাসা এবং আশির্বাদ পেয়েছেন তিনি। তবে কেউ তাঁর মুখে কালো কালি লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘দরগায় চাদর চড়াতে গিয়েছিলাম, সেখানে এক শুভাকাঙ্ক্ষী বলেন, আমার মুখে নাকি কাজলের টিকা লাগানো উচিত, যাতে কারও নজর না লাগে। আর সেই কথাটিকেই অন্যভাবে নিয়ে ফেলেছে কেউ। তবে আমি আমার মুখ ধুয়ে ফেলেছি’।
পুরো ঘটনায় অভিযোগের তীর কংগ্রেসের দিকেই রেখেছেন তিনি। যদিও, এই ঘটনায় এখনও কংগ্রেসের দিক থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে AIMIM নেতার মুখে কালি লাগায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় তাঁর অনুগামীদের মধ্যে।
খাজরানা থানার কর্তব্যরত অফিসার দীনেশ কুমার ভার্মা জানান, ওয়ারিশ পাঠানের মুখে কালি ছোঁয়ায় অভিযুক্ত খাজরানার প্যাটেল কলোনির বাসিন্দা। অভিযুক্তের নাম সাদ্দাম (৩০)। পেশায় শ্রমিক সাদ্দাম প্রাথমিক জেরায় জানিয়েছেন দেশবিরোধী কথা বলার জন্য ওয়ারিশকে তিনি পছন্দ করতেন না। মুসলমান সমাজকে হেয় করার কারণেই ওয়ারিশের দিকে তিনি কালি ছোঁড়েন বলেই দাবি সাদ্দামের। ওই ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কি না তা জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ওয়ারিশ। তাঁকে বলতে শোনা গেছিল, ‘আমরা ১৫ কোটি মুসলমান বাকি ১০০ কোটির উপর ভারী পড়তেই পারি’। তিনি আরও বলেন, ‘একসঙ্গে চলে আমাদের আজাদি অর্জন করতে হবে, যে জিনিসগুলো আমরা চেয়েও পাইনা সেগুলি আমাদের ছিনিয়ে নিতে হবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে নিন্দার ঝড় ওঠে দেশে। জল গড়ায় আদালত অবধিও। শেষ মেষ নিজের মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন এই মুসলিম নেতা।