বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘হিন্দুরা নাকি একটাই বিয়ে করে। কিন্তু বাইরে আরও তিন-চার জনকে রেখে দেয়। এমনকি তাদের অবৈধ সন্তান হলেও সেই সম্পর্ক প্রসঙ্গে কেউ জানে না’, সম্প্রতি এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এআইএমআইএম (AIMIM) সভাপতি শওকত আলি (Shaukat Ali)। এমনকি, ইতিহাসের কথা তুলে ধরে হিন্দু এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) উদ্দেশ্যে একাধিক মন্তব্য রাখেন তিনি। এবার ওই নেতার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙার অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করা হলো।
দেশের বুকে একদিকে যখন হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্রমাগত চেষ্টা করা হয়ে চলেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এআইএমআইএম সভাপতি শওকত আলি প্রকাশ্যে হিন্দুদের নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন।
সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও বর্তমানে ক্রমাগত ভাইরাল হয়ে চলেছে, যেখানে শওকত বলেন, “যারা মুসলিমদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলে যে, আমাদের নাকি একজন মহিলাকে বিয়ে করা উচিত। তারা আসলে একজনকেই বিয়ে করেন, কিন্তু আরো অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাদের অবৈধ সন্তানও হয়, যে সম্পর্কে আর কেউ জানে না।”
হিন্দুদের আক্রমণ করে একইসঙ্গে AIMIM নেতা বলেন, “মুসলিমরা দুটো বিয়ে করে। কিন্তু দুজনকেই সমানভাবে সম্মান দিতে জানে। কিন্তু আপনারা একটা বিয়ে করলেও বাইরে আরো সম্পর্ক রাখেন। আমরা দুটো বিয়ে করি, এটা ঠিক। তবে দুজনকেই সমান সম্মান সম্মান দেওয়া হয়। আপনারা একটা বিয়ে করলেও তিনজনকে রেখে দেন বাইরে; যে সম্পর্ক প্রসঙ্গে আর কেউ জানে না। আপনারা কাউকে সম্মান পর্যন্ত দেন না।”
একই সঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে শওকত বলেন, “বিজেপি বর্তমানে দুর্বল হয়ে পড়েছে আর ওদের স্বভাব হলো, দুর্বল হয়ে পড়লেই মুসলিমদের পেছনে লাগা। আমাদের সবসময় হুমকি দেওয়া হয়, একটাই যেন বিয়ে করি আর ওরা একাধিক সম্পর্কে জড়িত হয়ে চলেছে।” এমনকি পরবর্তীতে ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শওকত। মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে যোধা বাঈয়ের বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন, “আপনারা আমাদের হুমকি দিয়ে চলেছেন, অথচ আপনাদের উপরে তুলেছি আমরা।”
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এহেন বক্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়েছেন শওকত। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল। যদিও পরবর্তীতে নিজের সাফাই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের নেতা জানান, “কোন বিশেষ সম্প্রদায়কে আঘাত করার জন্য আমি কোনো রকম মন্তব্য করিনি।”