বাংলাহান্ট ডেস্ক: এপ্রিলেই তীব্র গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৪১ ডিগ্রির বেশি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত সাত বছরের মধ্যে রেকর্ড গরম পড়েছে এ বছরে। এর মধ্যে আবার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে (Academy of Fine Arts) শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিকল। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দর্শকরা। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্বরাও।
অভিযোগ, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের এসি অনেকদিন ধরেই খারাপ। কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে বহুবার। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সম্প্রতি অ্যাকাডেমিতে শুরু হওয়া নাট্যোৎসবের প্রথম দিন ছিল ১৪ এপ্রিল। প্রচণ্ড গরমে মধ্যে অ্যাকাডেমির ভেতরেও এসি বিভ্রাট হয়। নাটক চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন কিছু দর্শক, কিছুজন নাটকের মাঝখানেই উঠে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।
এরপরেই অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরদার হয়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন নাট্যব্যক্তিত্ব এবং দর্শকরাও। অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার বলেন, অ্যাকাডেমির শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রগুলো বহুদিনের পুরনো। মাঝে মাঝে সেগুলো সারাই করা দরকার। কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এদিকে নজর দেওয়া।
ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রয়াত কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কন্যা পৌলমী চট্টোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়রা। যতদিন না এসি ঠিক করা হচ্ছে ততদিন অ্যাকাডেমিতে অভিনয় করবেন না তাঁরা, এমনি দাবি করেছেন প্রত্যেকে। কারণ অসহনীয় গরমে দর্শকদের পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁদের নাটকের দলের লোকেরাও। এমতাবস্থায় কারোর বড় কোনো বিপদ হয়ে যাক এমনটা চান না কেউই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাডেমি বন্ধ করার ডাক দিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘অবিলম্বে একাদেমি অফ ফাইন আর্টস বন্ধ করা উচিত। আজ অভিনয় চলাকালীন ন’জন দর্শক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র দীর্ঘদিন কাজ করছে না।’ এছাড়াও দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দিয়েছেন, আগামী ৫ মে ‘হয়বদন’ নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে।
কিন্তু সে শো স্থগিত রাখা হয়েছে আপাতত। এসি কাজ করলে আবারো তাঁরা অ্যাকাডেমিতে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। যদিও অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস কর্তৃপক্ষের দাবি, এসি নাকি ঠিকই আছে। যন্ত্র কখন কাজ করবে আর কখন বিগড়ে যাবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।