বাংলাহান্ট ডেস্ক: সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের (aishwarya rai bachchan)। বিদেশে সম্পত্তি রাখার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জেরার মুখে পড়েছেন বিশ্বসুন্দরী। বিতর্কিত পানামা পেপার্স মামলায় ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট বা FEMA আইন অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে ঐশ্বর্যর বিরুদ্ধে।
এর মাঝেই প্রথম বার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন বলিউড অভিনেত্রী। বাবা মায়ের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। মা বৃন্দা রাই ও বাবা প্রয়াত কৃষ্ণরাজ রাইয়ের একটি ছবি শেয়ার করে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেয়ে ঐশ্বর্য। সঙ্গে লিখেছেন, ‘খুব ভালবাসি তোমাদের আর এই নিঃস্বার্থ ভালবাসা ও আশীর্বাদের জন্য অনেক ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, ইডির জেরার পর এটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর প্রথম পোস্ট। কমেন্ট বক্সে হৃদয়ের ইমোজি দিয়েছেন স্বামী অভিষেক বচ্চনও। শুভাকাঙ্খীরা ঐশ্বর্যকে অনুরোধ করেছেন সাহস রাখতে।
গত সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জামনগর দফতরে টানা ছয় ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়েছে বচ্চন পরিবারের বধূকে। এদিন অভিনেত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারী অফিসাররা। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে কয়েকটি প্রশ্ন প্রকাশ্যে এসেছে যা সম্ভবত ঐশ্বর্যকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের তরফে।
https://www.instagram.com/p/CXyu6XIPJ85/?utm_medium=copy_link
২০০৫ সালে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে অ্যামিক পার্টনার্স নামে একটি সংস্থার পত্তন হয়েছিল। এই সংস্থার সঙ্গে ঐশ্বর্যর কি কোনো যোগাযোগ রয়েছে? এই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ঐশ্বর্য ছাড়াও রয়েছে তাঁর প্রয়াত বাবা, মা ও ভাইয়ের নামও। এই বিষয়ে কী বক্তব্য রয়েছে অভিনেত্রীর?
উল্লেখ্য, প্রথমে কোম্পনির মূলধন ছিল ৫০ হাজার ডলার। ১ ডলার করে প্রত্যেক ডিরেক্টরের কাছে ১২ হাজার ৫০০ শেয়ার ছিল। ডিরেক্টর পদ থেকে হঠাৎ শেয়ার হোল্ডার পদে কেন এলেন ঐশ্বর্য? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ইডির তরফে। ২০০৮ সালে আচমকা কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়া হয় কেন? আর্থিক লেনদেনের জন্য রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি কি নেওয়া হয়েছিল? এসব প্রশ্নই করা হয়েছিল ইডির তরফে।