বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অযোধ্যা মামলা (Ayodhya) নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসার পর রবিবার দিল্লীতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (Ajit Doval) আবাসে বাবা রামদেব, স্বামী পরমাত্মানন্দ, স্বামী অবধেশানন্দ, শিয়া ধর্ম গুরু মৌলানা কল্বে জবাদ এবং অন্যান্য ধর্মগুরুরা বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া সবাই এই কথায় সহমত ছিল যে, দেশের অন্দরে আর বাইরে কিছু রাষ্ট্র বিরোধী সংগঠন এবং মানুষ পরিস্থিতির ফায়দা তুলে আমাদের দেশের ক্ষতি করার জন্য প্রচেষ্টা করতে পারে। বৈঠকে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বোধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে।
শনিবারেও অজিত দোভাল হিন্দু ধর্ম গুরু স্বামী অবধেশানন্দ, স্বামী পরমাত্মানন্দ এবং বাবা রামদেবের সাথে ওনার আবাসে সাক্ষাৎ করেন। শনিবারের ওই সাক্ষাৎ প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছিল। দোভালের সাথে সাক্ষাতের পর স্বামী অবধেশানন্দ গিরি বলেন আমরা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করি। পরমাত্মমানন্দ বলেন, আমরা দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য অয়াবশ্যিক পদক্ষেপ নিয়ে চর্চা করার জন্য দোভালের সাথে দেখা করি। দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করে যাব।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এবং মন্ত্রালয়ের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সাথে সুরক্ষা নিয়ে সমইক্ষা করেন। সিদ্ধান্ত আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিদের সাথে ফোনে কথা বলা পরিস্থিতির খবর নেন। সবথেকে বড় কথা হল, রাজ্যের পুলিশ বিভাগ আলাদা টিম গঠন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজক পোস্টের বিরুদ্ধে কড়া নজর রেখেছে। আর কেউ গুজব অথবা হিংসা ছড়ালে তাঁকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করে সেই সম্বন্ধে ট্যুইটার আর ফেসবুকে তথ্য শেয়ার করে হয়েছিল।
সুত্র অনুযায়ী, বিহার পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এর মতো কয়েকটি রাজ্যে বিশেষ করে নজর রাখা হয়েছে। রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগকে কেন্দ্র সম্পূর্ণ ভাবে সহয়তা করছে। এছাড়াও দেশের প্রতিটি সংবেনশীল এলাকা গুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গুলোর সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছেন।