‘ভারতের আশেপাশে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে”, অগ্নিপথ নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অজিত দোভাল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে উত্তেজক বিষয় “অগ্নিপথ” প্রকল্প নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পাশাপাশি, তিনি অগ্নিপথকে সময়োপযোগী একটি প্রকল্প হিসেবে মনে করেছেন। এছাড়াও, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে তিনি বলেন, ভারতের চারপাশের পরিবেশ বদলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীতেও পরিবর্তন জরুরি।

দোভালের মতে, বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর পরিবর্তন অত্যন্ত প্রয়োজন। এই বিষয়টিকে একটি আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা দরকার। পাশাপাশি, তিনি বলেন অগ্নিপথ কোনো স্বতন্ত্র স্কিম নয়। ২০১৪ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্ষমতায় আসেন, তখন তাঁর প্রধান অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি ছিল ভারতকে নিরাপদ এবং শক্তিশালী করা।
এই প্রসঙ্গে দোভাল জানান, “আমরা গতকাল যা করছিলাম, ভবিষ্যতেও যদি একই কাজ করতে থাকি, সেক্ষেত্রে আমরা নিরাপদে থাকব এমনটা নয়। এমতাবস্থায়, আমরা যদি আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি নিতে চাই তবে আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। অগ্নিবীর পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল কারণ ভারতের চারপাশের পরিবেশ বদলে যাচ্ছে।”

অদৃশ্য শত্রুর সাথে আমাদের লড়াই:
এই প্রসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান যে, যুদ্ধের মধ্যেও এখন বড় পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা যোগাযোগহীন যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং অদৃশ্য শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করছি। অস্ত্রের পরিবর্তে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই আগামীদিনের জন্য আমাদের যদি প্রস্তুতি নিতে হয় তাহলে নিজেদেরকে বদলাতে হবে। দোভাল বলেন, পরিবর্তনশীল এই সময়ে চারটি পরিবর্তন প্রয়োজন। এর জন্য সিস্টেম এবং কাঠামোর পরিবর্তন প্রয়োজন, প্রযুক্তির পরিবর্তন দরকার। সেই সঙ্গে জনবল এবং নীতিতেও পরিবর্তন দরকার।

নিয়মিত অগ্নিবীরদের নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে:
দোভাল বলেছেন যে, অগ্নিবীররা সবাই কখনই পূর্ণ সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হবেন না, তবে যাঁরা নিয়মিতভাবে সেনাবাহিনীর সাথে থাকবেন তাঁদের নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সময়ের সাথে সাথে তাঁরা অভিজ্ঞতাও অর্জন করবেন। তিনি আরও বলেন, রেজিমেন্টাল সিস্টেমের সাথে কোনো পরিবর্তন হচ্ছেনা। সেনাবাহিনীতে এটি অব্যাহত থাকবে।

পরিবর্তনের বাহক হয়ে উঠবে অগ্নিবীর:
মূলত, অজিত দোভাল তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অগ্নিবীর প্রকল্প সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলি দূর করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীতে চার বছর কাটিয়ে অগ্নিবীররা যখন ফিরে যাবেন, তখন তাঁরা সমাজের অন্যান্য নাগরিকদের চেয়ে বেশি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হবেন। পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, অগ্নিবীররা যখন প্রথম অবসর নেবেন, তখন তাঁদের বয়স হবে ২৫ বছর। এছাড়াও, তখন ভারতের অর্থনীতি হবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

NSA Ajit Doval pti

এমতাবস্থায়, ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে তখন এমন দক্ষ লোকেরই প্রয়োজন হবে। তাঁর মতে, এই অগ্নিবীররাই হয়ে উঠবেন পরিবর্তনের বাহন। পাশাপাশি, অস্ত্রের প্রসঙ্গে তিনি জানান, আজ ভারতের তৈরি AK-203-এর সঙ্গে নতুন অ্যাসল্ট রাইফেল সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এটি বিশ্বের সেরা অ্যাসল্ট রাইফেল। স্বাভাবিকভাবেই, সামরিক সরঞ্জামে গুরুত্বপূর্ণভাবে অগ্রগতি হচ্ছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর