বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন আখতার আলি (Akhtar Ali)। সেই আখতার আলিই এবার নিজে দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড হলেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আখতার আলির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।
সরঞ্জাম পাইয়ে দেওয়ার বদলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আখতার আলির (Akhtar Ali) বিরুদ্ধে
স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, আর জি কর মেডিক্যালে ডেপুটি সুপার থাকা অবস্থায় আখতার আলি (Akhtar Ali) সরঞ্জাম বরাত পাইয়ে দিতে ঘুষ নিয়েছিলেন। একটি সংস্থার কাছ থেকে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা, অন্য এক সংস্থার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি একাধিকবার বিমানের টিকিটও কাটিয়েছিলেন নাকি সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই। মোট ৪ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার বরাত পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন আখতার আলি
তবে এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন আখতার আলি (Akhtar Ali)। তাঁর দাবি, “আমি সিবিআইয়ের কোনও চার্জশিট দেখিনি। আমার আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও বলেননি কিছু। স্বাস্থ্য দপ্তর যা বলছে তা অবাস্তব। ওই কেস এখনও চলছে, সিবিআই তদন্ত করছে। আমি সব নথি দিয়েছি, আমার, পরিবারের, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট, সবই।” তিনি আরও জানান, “সিবিআই এখনও পর্যন্ত আমাকে কোনও সমন দেয়নি, অভিযুক্তও করেনি। বরং আমি যেই অভিযোগ করেছি, সেই কেসেই এখন তদন্ত চলছে।”
আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর থেকেই সরকারি প্রতিহিংসার মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি করেছেন আখতার আলি (Akhtar Ali)। তিনি বলেন, “আমি মুখ খুলেছি বলেই বারবার বদলি করা হচ্ছে। আমার ডিপার্টমেন্ট আমায় চাকরি করতে দিচ্ছে না।” গত অগস্ট মাসে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন যে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খোলার খেসারত আজও দিচ্ছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে তিনি কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে। কিন্তু, সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে বরং তাঁকেই সাসপেন্ড করা হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, “আখতার আলির অভিযোগেই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।”

আরও পড়ুনঃ অ্যাকাউন্টে ফিরল ৫৫ লক্ষ টাকা! কিন্তু কেন্দ্রকে নিশানায় রাখলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কী বললেন?
উল্লেখ্য, আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন আখতার আলিই (Akhtar Ali)। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার হন সন্দীপ ঘোষ। অথচ, এবার সেই অভিযোগকারীকেই দুর্নীতির দায়ে সাসপেন্ড করা হল।












