বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নতুন প্রজন্মই ছিল তার মূল লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যেই সমাজমাধ্যমে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন এক তরুণী। ইনস্টাগ্রাম ছিল তার মূল হাতিয়ার। এই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেই সন্ত্রাসবাদী বার্তা ছড়াচ্ছিলেন ওই তরুণী। ইনস্টাগ্রামে যেসব চ্যানেলের সাথে ওই তরুণীর যোগসূত্র ছিল সেগুলোর বিভিন্ন পোস্টে থাকত সন্ত্রাস বার্তা। অবশেষে জাল বিস্তার করে ওই তরুণীকে ধরে ফেলল গুজরাতের সন্ত্রাস দমন শাখা।
আল কায়দার (Al Qaeda) ভারতীয় শাখার অন্যতম মাথা সামা পারভিন
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম সামা পারভিন। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হলেও সামা বেশ কয়েক বছর ধরে রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। ভাইয়ের কর্মসূত্রেই সেখানেই চলে আসেন তিনি। আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন, তবে সম্প্রতি তিনি ছিলেন বেকার। সম্প্রতি তদন্তে আল কায়দার (Al Qaeda) ভারতীয় শাখার অন্যতম মাথা হিসেবে উঠে এসেছে সামা পারভিনের নাম ।
উল্লেখ্য, আল কায়দার (Al Qaeda) সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে গুজরাত, নয়ডা ও দিল্লি থেকে চার যুবককে গ্রেফতার করে গুজরাত এটিএস। ধৃতদের নাম মহম্মদ ফইক, মহম্মদ ফরদিন, মোদাসার কুরেশি ও জ়েশান আলি। বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সামার। সমাজমাধ্যমেই তৈরি হয়েছিল এই ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক।
তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, এই গোষ্ঠী ভারত জুড়ে ছড়িয়ে রেখেছিল তাদের জাল। বিভিন্ন জায়গায় ‘টার্গেট’ দেওয়া হত এই সদস্যদের। এমনকি, সীমান্তের বাইরে থাকা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সামাও। অভিযোগ, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার ছক কষছিল এই চক্র।
গুজরাত এটিএসের জালে ধরা পড়ার পর সমাজমাধ্যমের মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর এই নতুন প্রবণতা নিয়ে নতুন করে চিন্তায় গোয়েন্দারা। তরুণ প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দেওয়া কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সামার গ্রেফতারিই তার জোরালো প্রমাণ।