বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শো-কজ করে তিনদিনের মধ্যে জবাব চেয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এবার জবাব দিলে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ইমেল মারফত কেন্দ্রকে শো-কজের জবাব দেন তিনি। সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আলাপনবাবু কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর মিটিংয় নিয়ে জানিয়েছেন যে, ‘বৈঠকে ছিলাম, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বেরিয়ে আসি।” আলাপনবাবু জানিয়েছেন যে, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্যের সর্বেসর্বা, সেহেতু ওনার নির্দেশ পালন করা ওনার বাধ্যকতা।
বলে দিই, গত মাসের ২৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকার পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ওনার। কিন্তু, ওই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকায় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেননি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারের আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু শেষে তা হয়নি।
সেদিন কলাইকুণ্ডার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করানোর অভিযোগ ওঠে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী সেই কথা অস্বীকার করেছেন। আরেকদিকে, বৈঠকে উপস্থিত না থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন যে, তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সেখান থেকে রওনা দিয়েছিলেন। আরেকদিকে, কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয় যে, মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি ছাড়াই সেখান থেকে রওনা দেন।
এতকিছুর মধ্যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও জড়িয়ে যান। তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিবের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দফতরের অধীনস্থ অফিসার। আর তিনি সেদিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত না থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অভিযোগের পরই ওনাকে শো-কজ করা হয়। এরপর আলাপনবাবু নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি কেন্দ্রের শো-কজের জবাব দেন আজ। এখন এটাই দেখার বিষয় যে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির জবাবে কী প্রক্তিক্রিয়া দেয় কেন্দ্র।