বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেশি দাম হলেও আপত্তি ছিল না সুরাপ্রেমীদের। তবে মদের উপর যে ‘বিশেষ করোনাভাইরাস ফি’ চাপানো হয়েছিল, তা তুলে নিল দিল্লী সরকার। আগামী ১০ জুন থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর।
তবে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বিশেষ করোনা ফি’ (৭০ শতাংশ) তুলে নেওয়া হলেও সব ধরনের মদের উপর ভ্যাট ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। তবে তাতেও রাজধানীতে একধাক্কায় অনেকটাই কমবে মদের দাম।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেছেন যে, গত সপ্তাহে আমরা দিল্লীর লোকদের জিজ্ঞাসা করেছি যে, সমস্ত রাজ্যের জন্য দিল্লীর হাসপাতাল চালু করা উচিত? প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছেন যে যতক্ষণ না করোনা থাকবে ততক্ষণ দিল্লীর হাসপাতালগুলি কেবল দিল্লীর লোকদের জন্যই সংরক্ষণ করা উচিত। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, কাল থেকে দিল্লির সীমানা খুলে দেওয়া হবে। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে কমিটি ও জনগণের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, লকডাউনের গোড়ার দিকে দেশজুড়ে মদ বিক্রি বন্ধ ছিল। তার ফলে সরকারের আয় হুড়মুড়িয়ে কমছিল। সেই পরিস্থিতিতে তৃতীয় দফার লকডাউনের প্রথম দিন অর্থাৎ ৪ মে থেকে মদ বিক্রির ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। সেদিন রাতেই দিল্লি সরকার জানায়, মদের দামের উপর বাড়তি ৭০ শতাংশ ‘বিশেষ করোনা ফি’ চাপানো হচ্ছে। তার জেরে একলাফে মদের দাম বাড়লেও সুরাপ্রেমীদের আটকানো যায়নি। দোকানের ঝাঁপ খোলার আগে থেকেই লাইনে অপেক্ষা করতে থাকেন। তাঁদের মদ প্রেমের সামনে পর্যদুস্ত হয় বাড়তি দামও।
আর সেই প্রেমের সৌজন্য কোষাগার ভরে দিল্লি সরকারের। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, মদ বিক্রির ফলে ৪ মে থেকে ২৫ মে’র মধ্যে তাদের কোষাগারে ২২৭.৪৪ কোটি টাকা ঢুকেছে। তার মধ্যে ১২৭ কোটি টাকা বিশেষ করোনা ফি। তা সত্ত্বেও অবশ্য গত বছরের তুলনায় এবার সরকারের আয় অনেকটাই কম হয়েছে। গত বছর মে’মাসে সরকারের আবগারি আয় হয়েছিল ৪২৫.২৪ কোটি টাকা।